Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • লাইভ ক্যামেরায় ধরা পড়ল ভয়ঙ্কর সত্য! বিমানবন্দরে স্টারবাক্সে মার খেয়ে লুটিয়ে পড়লেন পুলিশ—হতবাক গোটা দেশ!
বিদেশ

লাইভ ক্যামেরায় ধরা পড়ল ভয়ঙ্কর সত্য! বিমানবন্দরে স্টারবাক্সে মার খেয়ে লুটিয়ে পড়লেন পুলিশ—হতবাক গোটা দেশ!

uk woman
Email :2

বিমানবন্দরের ভেতরেই ঘটল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা—যা বদলে দিল ব্রিটেনের আইনশৃঙ্খলার বিতর্ক। ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২-এর স্টারবাক্সে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, এক ভয়াবহ সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে পড়েন পুলিশ কনস্টেবল লিডিয়া ওয়ার্ড (UK)। এখন সেই ঘটনার বডিক্যাম ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে, যা দেখে স্তম্ভিত গোটা ইংল্যান্ড। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে—নাক থেকে রক্ত ঝরছে কনস্টেবল ওয়ার্ডের, তিনি কাঁদছেন, আতঙ্কে ভেঙে পড়েছেন—এক সহকর্মী তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন (UK)।

লিভারপুল ক্রাউন কোর্টে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কনস্টেবল ওয়ার্ড বলেন, তিনি ছিলেন “চরমভাবে আতঙ্কিত” (UK)। অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সী মোহাম্মদ ফাহির আমাজের বিরুদ্ধে একজন কাস্টমারকে হেডবাট মারার অভিযোগ আসে। সেই সূত্রে তাকে গ্রেফতারে যান লিডিয়া ওয়ার্ড ও তার দুই সহকর্মী (UK)। আমাজ তখন টিকিট মেশিনের সামনে ছিলেন। পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে তিনি আচমকাই ভয়ানক প্রতিরোধ শুরু করেন (UK)।

আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি, যখন অভিযুক্তের বড় ভাই, ২৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ আমাদ এসে পুলিশদের সঙ্গে লড়াইয়ে যোগ দেন (UK)। শুরু হয় রীতিমতো সংঘর্ষ। কনস্টেবল ওয়ার্ড আদালতে জানান, “আমি আমাজের হাত পেছনে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম হাতকড়া পরানোর জন্য, হঠাৎ দেখি আমার সহকর্মী মার্সডেন হয় ধাক্কা খেয়ে, না হয় পড়ে গেলেন। এরপর আমাজ তাকে কিক করতে শুরু করে।”

তিনি বলেন, “আমি তাকে থামাতে গিয়ে হঠাৎ একটা ঘুষি খেয়ে মুখের কোথাও আঘাত পেলাম, তারপর শুধু মনে আছে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলাম, চারপাশ অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল।”

এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় কনস্টেবল ওয়ার্ডের নাক ভেঙে যায়। তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের সময় তার রেডিওর ব্যাটারি খুলে পড়ে যায়, ফলে সাহায্যের জন্য তিনি যোগাযোগও করতে পারেননি। আর আশেপাশে দাঁড়ানো মানুষজন সাহায্যের বদলে ঘটনার ভিডিও করতে ব্যস্ত ছিলেন।

এই ঘটনায় মোহাম্মদ ফাহির আমাজের বিরুদ্ধে চারটি মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে—পুলিশ অফিসার ওয়ার্ড, অফিসার মার্সডেন, অফিসার কুক এবং এক সাধারণ যাত্রী আব্দুল করিম ইসমাইলের ওপর হামলার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার ভাই মোহাম্মদ আমাদকেও অফিসার মার্সডেনের ওপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

রোচডেলের এই দুই ভাই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মামলার বিচার এখনও চলছে।

Related Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts