নাইজারের (Niger) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দোসো (Dosso) অঞ্চলে বন্দুকধারীদের নৃশংস হামলায় দুই ভারতীয় নিহত হয়েছেন এবং আরও একজন ভারতীয়কে অপহরণ করা হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার, তবে ভারতীয় দূতাবাস শুক্রবার (স্থানীয় সময়) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে (Niger)। তারা জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিহতদের মরদেহ দেশে ফেরত পাঠানো এবং অপহৃত ব্যক্তির নিরাপদ মুক্তির জন্য কাজ চলছে।
নাইজারের (Niger) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার শিকার ভারতীয়রা একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করছিলেন। ঘটনাস্থল ছিল রাজধানী নিয়ামি (Niamey) থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে দোসো শহরের উপকণ্ঠে।
সাম্প্রতিক সময়ে নাইজারে (Niger) বিদেশিদের লক্ষ্য করে হামলা ও অপহরণের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এপ্রিল মাসেও একইভাবে পাঁচ ভারতীয় শ্রমিককে অপহরণ করা হয়েছিল। শুধু ভারতীয় নয়, এক সুইস নারী এবং নাইজারে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কাজ করা একজন অস্ট্রিয়ান নারী মানবিক কর্মীকেও এ বছর অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা।
নাইজারে (Niger) জিহাদি বিদ্রোহ বহুদিন ধরেই চলছিল, তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ মোড় নেয় ২০২৩ সালের জুলাইয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের পর। আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত গোষ্ঠীগুলো দেশের পশ্চিমাঞ্চলে Tillaberi ও Dosso এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে।
“Armed Conflict Location and Event Data Project”-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাস ছিল নাইজারের ইতিহাসে অন্যতম রক্তাক্ত মাস, যেখানে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো একাধিক হামলায় শতাধিক নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে।
এই বর্বর ঘটনায় না শুধু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন, বরং প্রবাসে শ্রমিক পাঠানো ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। একের পর এক অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় এখন আত্মীয়স্বজনের চোখে কেবল অশ্রু আর আতঙ্ক। বিদেশে পাড়ি জমানো ভারতীয়দের জীবন কি তবে বন্দুকধারীদের হেফাজতে রয়েছে?