পাকিস্তানে ফের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল (Taliban)। দেশটির উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু ও লাক্কি মারওয়াত জেলায় একযোগে চারটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়েছে পাক তালিবান (Taliban) জঙ্গি গোষ্ঠী (তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান)। ১৪ মার্চ রাতে এই হামলা শুরু হয় এবং গুলির লড়াই চলে ১৫ মার্চ ভোর পর্যন্ত (Taliban)।
রিপোর্ট অনুযায়ী, লাক্কি মারওয়াত জেলার পেজো ও দাদিওয়ালা পুলিশ স্টেশন এবং বান্নু জেলার বকাখেল ও ঘোড়িওয়ালা পুলিশ স্টেশনকে টার্গেট করা হয়। পাশাপাশি, বান্নুর খোজরি চেকপোস্টেও হামলা চালানো হয়। বন্দুক ও গ্রেনেডসহ ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালায় তালিবান জঙ্গিরা।
সূত্রের খবর, হামলার সময় স্থানীয় গ্রামবাসীরা পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে জঙ্গিদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। তবে, পাক প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, এই হামলায় কেউ নিহত হয়নি। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান।
এর আগে, ১৪ মার্চ খাইবার পাখতুনখোয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। নামাজ চলাকালীন আইইডি বিস্ফোরণের ফলে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
খাইবার পাখতুনখোয়ার পাশাপাশি, পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশেও একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাক সেনার একটি কনভয়ে হামলা হয় তুরবত এলাকায়, যেখানে চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের (CPEC) রুট ছিল টার্গেট। ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলার পেছনে বালোচ লিবারেশন আর্মি (BLA) জড়িত থাকতে পারে, কারণ এর আগেও তারা পাকিস্তান ও চীনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।
বলোচিস্তানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি দ্বিতীয় হামলা। এর আগে, হারনাই এলাকায় বোম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডকে নিশানা করা হয়েছিল। এ ছাড়া, সম্প্রতি বিদ্রোহীদের একটি দল জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হাইজ্যাক করেছিল। বিএলএ দাবি করেছে, ওই অভিযানে তারা ২১৪ জন বন্দিকে হত্যা করেছে।
টানা জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলায় অশান্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। তালিবান ও বালোচ বিদ্রোহীদের দফায় দফায় আক্রমণে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে।