বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনেছেন প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ২০২৪ সালের গণবিপ্লব চলাকালীন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে সংঘটিত সহিংস অভিযানে হাসিনার (Sheikh Hasina) সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছে।
বুধবার ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে জানানো হয়, আগস্ট ৫ তারিখ ঢাকার চাঁখারপুলে সাতজন নিরস্ত্র আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। তদন্তে জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ড ছিল বিরোধী কণ্ঠ দমন করার একটি পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টা (Sheikh Hasina)।
প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আদালতে বলেন, “এই নৃশংসতা চালানোর সর্বোচ্চ দায় শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina)। তিনি সরাসরি সব অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
এছাড়া, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, অবৈধ আটক, ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে আনুষ্ঠানিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতে আরও জানানো হয়, আগস্ট ৪ তারিখ রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে রাজনৈতিক ও সামরিক শীর্ষ মহলের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানালে তা প্রত্যাখ্যান করেন ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
অগাস্ট ৫ ভোরে সেনাবাহিনীর চাপের মুখে হাসিনা নাকি বলেছিলেন, “তাহলে আমাকে এখানেই গুলি করে মেরে গণভবনে কবর দাও।” কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ভারতে পালিয়ে যান, যেখানে তিনি এখন স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে হাসিনার অবস্থান নিয়ে এখনো কোনো অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এই ইস্যু বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।