বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। এক ফেসবুক লাইভ বক্তৃতায় তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, “ইউনূসের উত্থান সন্ত্রাসীদের সহায়তায় হয়েছে, আর তার শাসনামলে বাংলাদেশে অপরাধ বেড়েছে, সহিংসতা হয়েছে নিয়মিত ঘটনা, এবং দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রির ষড়যন্ত্র চলছে।”
হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “আজ দেশের নারীরা শহরে পর্যন্ত নিরাপদ নয়। ঈদে আগে যেভাবে মানুষ শহর থেকে গ্রামে যেত, বিদেশিরা আসত, এখন কেউ গ্রামে যেতে চায় না। ভয়, সন্ত্রাসীরা লুটপাট করবে—যাঁরা ইউনূসকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।” শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইউনূস ২০২৬ সালের এপ্রিলে নির্বাচন আয়োজনের যে পরিকল্পনা করছেন, সেটি জনগণের সঙ্গে ‘এপ্রিল ফুল’ করা এবং গণতন্ত্রকে উপহাস করার চক্রান্ত।
ভারতে নির্বাসনে থাকা হাসিনা (Sheikh Hasina) অভিযোগ করেন, ইউনূস যে “রোহিঙ্গা করিডোর” প্রকল্পকে সমর্থন দিচ্ছেন, সেটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং এর লক্ষ্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বিক্রি করে সমুদ্রসীমা হাতছাড়া করা। এই প্রস্তাব প্রথমে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সফরের সময় উত্থাপিত হয় এবং পরে নোবেল বিজয়ী ইউনূস তা নিয়ে আলোচনা করেন।
হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “রোহিঙ্গা করিডোর একটা ফাঁদ। এটার মাধ্যমে সেন্ট মার্টিন বিক্রি করে বাংলাদেশের সমুদ্র অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশ বিক্রি করা হচ্ছে।”
এর আগে হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট মার্টিন দ্বীপে একটি বিমানঘাঁটি নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি যদি আমেরিকাকে সেন্ট মার্টিন দিয়ে দিতাম, বঙ্গোপসাগর ছেড়ে দিতাম, তাহলে আজও ক্ষমতায় থাকতাম।”
তিনি (Sheikh Hasina) আরও অভিযোগ করেন, ইউনূস শাসনকালে বাংলাদেশ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আরও বেড়েছে এবং এই সমস্যা মোকাবিলায় তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
এই করিডোর পরিকল্পনাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ সবাই একযোগে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান এই করিডোরকে “রক্তাক্ত করিডোর” আখ্যা দিয়ে বলেন, “এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।”
জনমত ও সামরিক চাপে পড়ে ইউনূস সরকারের কর্মকর্তারা পরে জানান, এখনো কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশ বর্তমানে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় দিয়েছে। হাসিনা আরও বলেন, তার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে হত্যা করা হচ্ছে, এবং ইউনূস সরকার সাধারণ জনগণকেও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ইউনূস দুর্নীতিতে জড়িত এবং তিনি নিজের স্বার্থে ও সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। দেশের গার্মেন্টস রপ্তানি খাতও তার আমলে ধ্বংসের মুখে।
