বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ঘিরে বিতর্ক ক্রমশই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সম্প্রতি দেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লিগ নেত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় এমন এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন, যা নিয়ে চরম রাজনৈতিক আলোড়ন শুরু হয়েছে।
সজীবের দাবি অনুযায়ী, হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনুসকে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষপদে বসাতে একটি গভীর ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছিল। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মূলত ইউনুসের প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথগ্রহণই বেআইনি ছিল।
এই বিস্ফোরক অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে সজীব উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনাবাহিনীর সদ্য প্রকাশিত একটি তালিকা, যেখানে বলা হয়েছে হাসিনা সরকারের পতনের পর বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি সেনাবাহিনীর হেফাজতে ছিলেন। ওই তালিকায় দেখা গেছে, সেই সময় দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরাও সেনার হেফাজতে ছিলেন।
এই তথ্য ঘিরেই প্রশ্ন তুলেছেন সজীব। তাঁর বক্তব্য, যদি প্রধান বিচারপতি (Bangladesh) সেনার হেফাজতে থাকেন, তাহলে কীভাবে ইউনুসের শপথগ্রহণের জন্য অনুমোদন দিলেন? তাহলে কি তাঁর স্বাক্ষর জাল করে একটি মিথ্যা রেফারেন্স তৈরি করা হয়েছিল? এমনকি ওই শপথগ্রহণে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের কথা উল্লেখ থাকলেও অন্য কোনও বিচারপতির স্বাক্ষর ছিল না বলেও দাবি তাঁর।
সজীব (Bangladesh) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ পোস্টে লেখেন,”এখন বোঝা যাচ্ছে সেনাবাহিনী কেন এতদিন পর এই তালিকা প্রকাশ করল। সম্ভবত, ইউনুস গ্যাং প্রধান বিচারপতির সই নকল করে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের মিথ্যা রেফারেন্স তৈরি করেছিল। এই রেফারেন্সের ভিত্তিতেই ইউনুস সরকার শপথ নেয়।”
তিনি আরও দাবি করেন,”সেই সময় প্রচার করা হয়েছিল যে বিচারপতিরা তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন শপথ দিতে, অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, তাঁরা তখন সেনার হেফাজতেই ছিলেন। আইএসপিআর প্রকাশিত তালিকাই তার প্রমাণ।”
পোস্টের সঙ্গে সজীব ওই তালিকাটিও যুক্ত করেছেন, যা এখন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চর্চার বিষয়। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে— গত প্রায় ১০ মাস ধরে বাংলাদেশ কি তবে একটি সম্পূর্ণ বেআইনি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই চলছে? যদি সজীবের দাবি সত্যি হয়, তবে এর আইনি, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক পরিণতি অত্যন্ত গুরুতর হতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তরফে এখনও এই নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি, তবে দেশের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গেছে। ইউনুস পক্ষ থেকে বা আদালতের তরফেও এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
এদিকে বিরোধীরা একে ‘গভীর রাষ্ট্রযন্ত্রে’ রূপান্তরিত করার অভিযোগে সোচ্চার, আর সাধারণ মানুষ অপেক্ষায়—এর পর কী আসে!
