রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে এক বিস্ফোরক বক্তব্যে দাবি করলেন, রুশ ও ইউক্রেনীয় জনগণ আসলে “একই জাতি” এবং সেই অর্থে “সারা ইউক্রেন আমাদেরই”। তিনি (Russia) এটাও বলেন, ইউক্রেনের সুমি শহর রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে যেতে পারে, এমন সম্ভাবনাও তিনি উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
পুতিন বলেন, “রাশিয়ায় (Russia) একটা প্রবাদ আছে— যেখানে রাশিয়ান সেনার পা পড়ে, সেটা আমাদের জমি হয়ে যায়।” তাঁর মতে, ইউক্রেনে চলা রুশ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি দাবি করেন, রাশিয়া (Russia) কখনও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করেনি, তবে মনে করিয়ে দেন, ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার সময় ইউক্রেন নিজেকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাব ও সামরিক জোটের দিকে ঝুঁকে পড়েছে, যা রাশিয়ার (Russia) জন্য হুমকি।

পুতিন আরও জানান, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুমি অঞ্চলে রাশিয়ান সেনাবাহিনী একটি “বাফার জোন” তৈরি করছে, যাতে রুশ ভূখণ্ডে আর কোনো হামলা না হয়। এই অঞ্চল ভবিষ্যতে রাশিয়ার দখলে আসতেও পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
এই বক্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলো আগেই রাশিয়ার ক্রিমিয়া ও আরও চারটি অঞ্চল দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বহুবার রাশিয়ার সেই দাবি নস্যাৎ করেছেন যে, রুশ ও ইউক্রেনীয়রা এক জাতি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন একটি স্বাধীন দেশ এবং তারা রাশিয়ার আধিপত্যকে মেনে নেবে না।
এই মন্তব্য এমন সময়ে এল, যখন রাশিয়া পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা জোরদার করেছে, এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে এই যুদ্ধের পরিধি ও পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।