Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • ‘স্বপ্নের দেশ’ মস্কোতে ভয়ংকর রূপ! কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও শিশুকে প্রতিবেশীদের মারধর, ভিডিও দেখে কাঁদছে বিশ্ব
বিদেশ

‘স্বপ্নের দেশ’ মস্কোতে ভয়ংকর রূপ! কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও শিশুকে প্রতিবেশীদের মারধর, ভিডিও দেখে কাঁদছে বিশ্ব

Racism
Email :3

বিশ্বজুড়ে অভিবাসন ও গ্লোবালাইজেশনের যুগে যেখানে মানুষ নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের আশায় দেশ বদল করে, সেখানে এক কৃষ্ণাঙ্গ নারীর অভিজ্ঞতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—বর্ণবাদ কোনো একদেশীয় সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক ব্যাধি (Russia)।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা এবং রাশিয়ায় আশ্রয় নেওয়া ফ্রান্সিন ভিলা নামক এক কৃষ্ণাঙ্গ নারী এক সময় বলেছিলেন, “রাশিয়ায় (Russia) আমি নিজেকে মুক্ত মনে করি, কারণ এখানে দিন-রাত যেকোনো সময় আমি রাস্তায় বেরোতে পারি এবং নিরাপদ বোধ করি।” ২০২০ সালে RT ডকুমেন্টারিতে “Black in the USSR” শিরোনামের একটি প্রামাণ্যচিত্রে এই বক্তব্য তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে (Russia)।

কিন্তু সেই স্বপ্ন আজ রূপ নিয়েছে দুঃস্বপ্নে। সম্প্রতি ফ্রান্সিন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে দেখা যায় তিনি এবং তাঁর শিশু সন্তান মস্কোতে (Russia) নিজ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে গেলে প্রতিবেশীরা তাদের পথ রোধ করে। প্রতিবেশীরা তাঁকে নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, তার রাশিয়ায় থাকার বৈধতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন।

ভিডিওতে ভিলা নিজের শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে বলেন, তিনি (Russia) কেবল এক ফ্ল্যাটে থাকার চেষ্টা করছিলেন—যেখানে তিনি আইনি ও বৈধভাবে বসবাস করছিলেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, তাঁকে এবং তাঁর শিশুকে হেনস্তা করার জন্য প্রতিবেশীরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে।

এই ভিডিওটি সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রান্সিনের প্রতি সহানুভূতি ছড়িয়ে পড়ে, তবে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন—যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদ থেকে বাঁচতে কেউ কীভাবে রাশিয়াকে (Russia) নিরাপদ আশ্রয় ভেবেছিল?

এক সময় নিরাপত্তা এবং মুক্তির আশায় রাশিয়া পাড়ি জমানো ভিলার জীবন আজ নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল বিশ্বব্যাপী সংখ্যালঘুদের বাস্তবতা নিয়ে। তাঁর এই ব্যক্তিগত কাহিনী সামনে এনে দেয় একটি গভীর বাস্তবতা—বর্ণবাদ আজ কেবল একটি জাতিগত বা ভৌগোলিক সমস্যাই নয়, বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংকট।

বিশ্ব যখন অভিবাসনের স্বপ্নে বিভোর, তখন এই ধরনের ঘটনা গোটা মানব সমাজকে কাঁপিয়ে তোলে। এটি বুঝিয়ে দেয়, শুধুমাত্র পাসপোর্ট বদলালেই কারো নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না, বরং সমাজ ও মননের বদলই প্রকৃত মুক্তির চাবিকাঠি।

Related Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts