ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে (Radiation Leak) পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সমন্বয় মন্ত্রকের একটি কথিত “Radiological Safety Bulletin”। এই তথাকথিত সরকারি নথি ঘিরেই শুরু হয়েছে প্রবল চর্চা ও জল্পনা (Radiological Leak)। এই বিষয়ে পাক সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। ভারতের
নথিটিতে দাবি করা হয়েছে, উত্তর পাকিস্তানের এক কেন্দ্রে রেডিয়েশন লিক হয়েছে ১১ মে তারিখে (Radiological Leak)। অভিযোগ, ইন্ডিয়াম-১৯২ (Indium-192) নামক একটি তেজস্ক্রিয় ক্যাপসুল স্থানান্তরের সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটে (Radiological Leak)। ক্যাপসুলটি নন-ডেস্ট্রাকটিভ টেস্টিং (NDT)-এর জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল বলে দাবি করা হয়েছে (Radiological Leak)।
নথিটি “CONFIDENTIAL – IMMEDIATE RELEASE” মার্কা যুক্ত, যেখানে রেডিয়েশন মাত্রা, নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা এবং পরিবেশগত প্রভাবের রিপোর্টও সংযোজিত রয়েছে (Radiological Leak)।
তবে নথিটির সময়কাল ঘিরেই তৈরি হয়েছে আরও সন্দেহ (Radiation Leak) । কারণ, লিকের ঘটনার দিন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ১১ মে — সেই দিনের পরই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছিল (Radiation Leak)। এর আগেই ভারতের তরফে চালানো পালটা হামলা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও স্ট্রাইক ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এই তথাকথিত ‘রেডিয়োলজিক্যাল বুলেটিন’ সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। X (সাবেক টুইটার)-এ বহু ব্যবহারকারী দাবি করেন, ভারতের পালটা এয়ারস্ট্রাইকে এমন কোনো স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে পারমাণবিক সামগ্রী থাকতে পারে।
তবে একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলা জরুরি—এই নথির সত্যতা এখনও যাচাই করা যায়নি। এটি ভুয়োও হতে পারে। এর আগেও পাকিস্তানের নাম করে বিভিন্ন ভুয়ো প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে, যেমন—প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাস্টডিতে যৌন নিগ্রহ কিংবা তাঁর মৃত্যুর মিথ্যে খবর।
সবচেয়ে সন্দেহজনক অংশটি হল—নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রেডিয়েশন লিক ঘটেছে “২৪-৫৫” ঘন্টায়। এই সময়সূচি বাস্তবে অস্তিত্বই রাখে না, যা থেকেই ধারণা করা হচ্ছে যে এই তথাকথিত বুলেটিন আদতে একটি মনগড়া বা ভুয়ো দলিল।
তবুও, পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ভারতের হামলার সম্ভাবনা ঘিরে অনলাইন মহলে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। আর সেই জল্পনার মাঝেই দ্রুত ভাইরাল হয়েছে এই তথাকথিত ‘Radiological Safety Bulletin’।