রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) শনিবার টেলিফোনে ৫০ মিনিট ধরে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। ক্রেমলিনের শীর্ষ সহকারী ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, এই ফোনালাপটি ১৪ জুন অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার শুরুতেই পুতিন ট্রাম্পকে (Donald Trump) ৭৯তম জন্মদিন ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফ্ল্যাগ ডে’র জন্য শুভেচ্ছা জানান। এই ফোনালাপে দুই নেতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে থাকা “যুদ্ধকালীন ভ্রাতৃত্বের চেতনা” স্মরণ করেন।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই দীর্ঘ কথোপকথনে পুতিন ট্রাম্পকে (Donald Trump) ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক আলোচনার বিষয়েও অবহিত করেন।
পুতিন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। ট্রাম্পও (Donald Trump) একমত হয়ে এই পরিস্থিতিকে “খুবই বিপজ্জনক” বলে উল্লেখ করেন।
ক্রেমলিন আরও জানায়, পুতিন ট্রাম্পকে জানান যে রাশিয়া চায় ইরানের পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে আবার আলোচনায় ফিরতে। পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজার আহ্বানও জানান তিনি। দুই নেতাই সম্মত হন যে আলোচনায় ফিরে আসা এখনও সম্ভব।

এই আলোচনার কিছুক্ষণ পরেই ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের বিমান হামলা চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা ভেস্তে যাবে।
তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এই সপ্তাহান্তে ওমানে হওয়ার কথা ছিল ষষ্ঠ দফার আলোচনা। কিন্তু সেই আলোচনা বাতিল করা হয়েছে। ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আলবুসাইদী জানিয়েছেন, “কূটনীতি ও সংলাপই শান্তির একমাত্র পথ।”
এছাড়াও, ইউক্রেন ইস্যুতেও আলোচনা হয়। পুতিন জানান, ২ জুন ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তার বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। রাশিয়া এখনও আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি।