বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া—প্রয়াত হলেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। ভ্যাটিকানের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালে স্থানীয় সময় ৭টা ৩৫ মিনিটে নিজের বাসভবন কাসা সান্টা মার্টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (Pope Francis)। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শেষপর্যন্ত মৃত্যু হলো আধুনিক যুগের অন্যতম প্রভাবশালী এই ধর্মনেতার (Pope Francis)।
২০১৩ সালে পোপ বেনেডিক্ট ষষ্ঠদশ পদত্যাগের পর ফ্রান্সিস দায়িত্ব গ্রহণ করেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের পবিত্র পদের। ইতিহাসে তিনিই প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান পোপ। আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া এই ধর্মগুরু—আসল নাম জর্জ মারিও বেরগগলিও—৭৬ বছর বয়সে নির্বাচিত হয়েছিলেন পন্টিফ হিসেবে। তাঁর পোপত্বের মেয়াদ ছিল ১২ বছর।
এই সময়কালে তিনি ৬৫টিরও বেশি দেশে সফর করেছেন এবং ৯০০-রও বেশি সন্ন্যাসীকে দীক্ষা দিয়েছেন। সমলিঙ্গ যুগলকে আশীর্বাদ প্রদানের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হোক কিংবা ভ্যাটিকানের গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রথমবারের মতো কোনও মহিলার নিয়োগ—সবক্ষেত্রেই তিনি আধুনিকতার ছাপ রেখেছেন।
অবশেষের আগে রোববারই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেভি ভান্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি এবং দিয়েছেন ইস্টারের বার্তা। হাজার হাজার মানুষ সেই বার্তা শুনতে ভ্যাটিকান চত্বরে জমায়েত হয়েছিলেন।
বিগত কয়েক মাস ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে। শেষপর্যন্ত, এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটল। বিশ্ব হারাল এক মানবিক, উদার ও দূরদর্শী ধর্মনেতাকে।