Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • রাজপ্রাসাদে মোদী! রাজা চার্লসের হাতে ‘এক পেড় মা-কে নাম’-এর গাছ, সাথে যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তিতে সই!
বিদেশ

রাজপ্রাসাদে মোদী! রাজা চার্লসের হাতে ‘এক পেড় মা-কে নাম’-এর গাছ, সাথে যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তিতে সই!

PM Modi a
Email :5

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) তাঁর দু’দিনের যুক্তরাজ্য সফরের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার পৌঁছান নরফোকের স্যান্ডরিংহাম হাউসে। সেখানেই সাক্ষাৎ হয় ব্রিটেনের রাজা চার্লস তৃতীয়ের সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা হয় ভারত-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্ক, যোগ, আয়ুর্বেদ এবং পরিবেশ রক্ষায় ‘মিশন লাইফ’-এর প্রসারে সম্ভাব্য যৌথ উদ্যোগ নিয়ে (PM Modi)।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Modi) ও রাজা চার্লস ভারত-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সঙ্গে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন, যোগ ও আয়ুর্বেদের প্রসার নিয়ে মতবিনিময় হয়।”

ব্রিটিশ রয়্যাল ফ্যামিলিও এই সাক্ষাতের ছবি শেয়ার করে জানায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Modi) একটি গাছ উপহার দিয়েছেন রাজাকে, যা এই শরতে রোপণ করা হবে। এই উপহার এসেছে মোদীর পরিবেশ-বান্ধব অভিযানের অনুপ্রেরণায়— ‘এক পেড় মা কে নাম’, যেখানে মানুষকে তাদের মায়ের নামে একটি গাছ রোপণের আহ্বান জানানো হয়।

 

এর আগেও ২০২৩-এ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত COP28 জলবায়ু সম্মেলনের সময় মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Modi) ও রাজা চার্লস। এই সাম্প্রতিক সাক্ষাৎ প্রমাণ করে, কমনওয়েলথের অন্যতম বৃহৎ সদস্য রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবারই ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে সই হয়ে গেল ঐতিহাসিক ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (FTA)। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরোনোর পর এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যচুক্তি। দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যচুক্তির মাধ্যমে বছরে অতিরিক্ত ৩৪ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ব্রিটিশ ব্যবসা ও বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস এই চুক্তিতে সই করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হয়।


যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মোদী (PM Modi) বলেন, “আজ আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক দিন। বহু বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর আমরা একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যচুক্তিতে পৌঁছতে পেরেছি।”

এই চুক্তির ফলে ভারত থেকে পাঠানো ৯৯ শতাংশ পণ্যে থাকবে না কোনও শুল্ক। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য থেকেও হুইস্কি, গাড়ি, ও নানা পণ্যের রফতানি হবে আরও সহজে। দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে ৬০ বিলিয়ন ডলার থেকে ১২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts