Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • গ্রিন কার্ডধারী হলেও আমেরিকা থেকে তাড়াতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন! মাহমুদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস!
বিদেশ

গ্রিন কার্ডধারী হলেও আমেরিকা থেকে তাড়াতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন! মাহমুদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস!

palestinian
Email :5

নিউইয়র্কে বসবাসরত ৩০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনপন্থী কর্মী (Palestinian Activist) মাহমুদ খালিল ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। মাত্র কিছুদিন আগে ICE-এর (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) ডিটেনশন সেন্টার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি (Palestinian Activist) ফেডারেল আদালতে ২০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি দায়ের করা হয়েছে ফেডারেল টর্ট ক্লেইমস অ্যাক্ট-এর অধীনে।

খালিলের (Palestinian Activist) দাবি, তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আটক রাখা হয়েছিল শুধু তার ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থানের কারণে। মার্চ ২০২৫-এ নিউইয়র্কের নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ICE। তিনি (Palestinian Activist) তখন ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন, বিশেষ করে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

আইনি নথিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে “সন্ত্রাসবাদে সহানুভূতিশীল” এবং “ইহুদিবিদ্বেষী” বলে কুৎসা রটিয়েছেন। তার ভাবমূর্তি ধ্বংস করা এবং তাকে বিপদের মুখে ফেলার জন্য এসব করা হয়েছে—তবে এর পেছনে মূল লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া (Palestinian Activist)।

খালিলের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেল ক্ষতিপূরণ ছাড়াও একটি সরকারি ক্ষমাপ্রার্থনা ও বর্তমান সরকারের ডিপোর্টেশন নীতিতে পরিবর্তন দাবি করছেন।

তবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সহকারী সচিব ট্রিশিয়া ম্যাকলাফলিন এই অভিযোগকে ‘অবাস্তব ও বিভ্রান্তিকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ABC-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “খালিল (Palestinian Activist) নিজেই ক্যাম্পাসে ইহুদি ছাত্রদের ভয় দেখিয়েছে। DHS তাকে বা তার পরিবারকে কোনোভাবেই সন্ত্রাসবাদ দেখায়নি।”

জানা গেছে, মাহমুদ খালিল একজন গ্রিন কার্ডধারী ও যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা। তার স্ত্রী নূর আব্দাল্লা সম্প্রতি তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু সেই সময়ে খালিলকে তার স্ত্রীর পাশে থাকতে দেওয়া হয়নি।

জুন ২০২৫-এ নিউ জার্সির এক ফেডারেল বিচারক খালিলের গ্রেপ্তারের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে তাকে আর আটক বা ডিপোর্ট না করার নির্দেশ দেন।

তবুও তার উপর থেকে এখনও পুরোপুরি ডিপোর্টেশনের হুমকি সরেনি। মাহমুদ খালিল মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতার অপব্যবহার করছে এবং নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে ভাবছে। তার দাবি, সরকারকে এর জন্য জবাবদিহি করতেই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts