পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Pakistani PM) শাহবাজ শরিফ স্বীকার করে নিয়েছেন যে ৯-১০ মে রাতের মধ্যে ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তান আর্মি সম্পূর্ণ “অপ্রস্তুত” ছিল। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে শরিফ (Pakistani PM) বলেন, ভারতের এই হামলা এমন এক সময়ে হয়, যখন পাকিস্তান ভোর ৪.৩০ টার সময় পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
শাহবাজ (Pakistani PM) বলেন, “আমরা স্থির করেছিলাম যে ভারতীয় আগ্রাসনের জবাবে আমরা ফজরের নামাজের পর হামলা করব। কিন্তু তার আগেই ভারত ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে, এমনকি রাওয়ালপিন্ডির বিমানবন্দরে আঘাত হানে।”
এই হামলা হয়েছিল পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পশ্চিম সীমান্তে বেসামরিক এলাকায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে (Pakistani PM)। ভারত এই হামলায় মোট ১৫টি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যেগুলি Su-30MKI যুদ্ধবিমান থেকে ছোঁড়া হয়। এই ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পাকিস্তানের চীন-নির্মিত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত করে।
হামলার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি— যার মধ্যে ছিল নুর খান এয়ারবেস, রাফিকি, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, চুনিয়ান, সুক্কুর, স্কারদু, সর্গোধা, জেকবাবাদ ও ভোলারী। স্যাটেলাইট চিত্রে অন্তত দুইটি সামরিক পরিবহন বিমানের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে।
এই হামলার মধ্যে দিয়ে ভারত প্রমাণ করেছে— শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, প্রয়োজনে আগাম আঘাত হানার ক্ষমতাও ভারতের আছে।