কাশ্মীর (Kashmir Issue) ও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ঘিরে এক বিতর্কিত প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার এক পাকিস্তানি সাংবাদিককে কার্যত থামিয়ে দেয়। ঘটনাটি ঘটে ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে, যেখানে সাংবাদিকটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে, তিনি দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে শান্তি (Kashmir Issue) আলোচনায় বাধা দিচ্ছেন।
সাংবাদিকটি বলেন,”পাকিস্তান আমেরিকার প্রচেষ্টাকে (Kashmir Issue) স্বাগত জানিয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুতে (Kashmir Issue) শান্তি আনতে পারেন, তবে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতেও পারেন। অথচ মোদী সেই মানুষ, যিনি ১০ বছর আগে পর্যন্ত আমেরিকায় প্রবেশাধিকার পাননি।”
এর জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক থমাস পিগট (Thomas Pigott) স্পষ্ট জানান, “আমাদের একমাত্র লক্ষ্য (Kashmir Issue) হলো যুদ্ধবিরতি। আমরা সেটা দেখতে পেরে খুশি। এবং আমরা চাই এটা বজায় থাকুক। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলা। প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে কথা বলেছেন।”
সাংবাদিকটি এরপর বলেন, ট্রাম্প যদি সত্যিই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কাশ্মীর সমস্যা মিটিয়ে দেন, তাহলে তার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। এর জবাবে পিগট বলেন,
“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একজন শান্তিকামী ব্যক্তি। তিনি একজন চুক্তিবদ্ধ (deal maker) মানুষও। আমেরিকা ফার্স্ট নীতির মধ্যে থেকেও তিনি শান্তির পক্ষেই কাজ করছেন। তিনি বারবার দেখিয়েছেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান।”
পাকিস্তানি সাংবাদিক এরপর আরও একটি স্পর্শকাতর প্রশ্ন তোলেন, “ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্ধুরে যে ড্রোন ব্যবহার করেছে, তা ইজরায়েলি প্রযুক্তির তৈরি। ট্রাম্প যিনি আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইহুদি, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের একত্র করার কথা বলছেন, সেই পরিস্থিতিতে এই ইজরায়েলি ড্রোন ব্যবহার কি পাকিস্তান-ইজরায়েল সম্পর্কে আরও টানাপোড়েন সৃষ্টি করবে না?”
পিগট আবারও স্পষ্ট করে বলেন,”আমাদের একমাত্র ফোকাস হলো যুদ্ধবিরতি এবং দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ। প্রেসিডেন্ট শান্তিপ্রিয় এবং বিশ্বজুড়ে শান্তির পথ খুঁজে চলেছেন। ইজরায়েলি ড্রোন বা নির্দিষ্ট অস্ত্রব্যবহারের বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করছি না।”
এই পুরো ঘটনার মাধ্যমে পরিষ্কার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা না বাড়ুক এবং যে কোনও রাজনৈতিক বা সামরিক ইস্যুকে ছাপিয়ে তাদের মূল নজর ‘সিজফায়ার’ এবং ‘ডিরেক্ট কমিউনিকেশন’-এ।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’-এর দাবিদার হিসেবে তুলে ধরা এবং মোদীর অতীত আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে এনে আলোচনাকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে চাইলেও, মার্কিন দিক থেকে বারবারই ‘নিরপেক্ষ অবস্থান’ এবং শান্তি রক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।













