শনিবারের পর সোমবার ফের একবার ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) পরীক্ষায় উত্তেজনা বাড়াল পাকিস্তান। এবার ১২০ কিমি পাল্লার ‘ফতেহ্’ নামের মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রের (Missile) সফল পরীক্ষা চালাল ইসলামাবাদ। এর মাধ্যমে তারা যেন ভারতকে একরকম সরাসরি যুদ্ধের(Missile) জন্যই উসকানি দিচ্ছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে ভারত-নিয়ন্ত্রিত সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের পর থেকেই ‘অপারেশন সিন্ধু’ নামে সামরিক মহড়া (Missile) চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।
শুধু তাই নয়, এর আগে গত শনিবার পাকিস্তান আরও ভয়ংকর বার্তা দেয় ৪৫০ কিমি পাল্লার ‘আবদালি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার মাধ্যমে। এই পরীক্ষার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানান, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একেবারে সুরক্ষিত ও শক্ত হাতে রয়েছে। তিনি বলেন, “এই পরীক্ষায় স্পষ্ট, আমাদের সামরিক বাহিনী যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
পাক সেনার প্রচার বিভাগ ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (ISPR) এক বিবৃতিতে জানায়, “ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্য কেবল প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, এর মাধ্যমে আমরা বার্তা দিতে চাই যে পাকিস্তান যেকোনো পরিস্থিতিতে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।”
শনিবার পরীক্ষিত আবদালি ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল মোবাইল-লঞ্চার সুবিধাসম্পন্ন এবং আগের সংস্করণের তুলনায় দ্বিগুণ পাল্লার। পূর্বে এর পাল্লা ছিল ১৮০–২০০ কিমি, এবার তা বেড়ে হয়েছে ৪৫০ কিমি। এবার ‘ফতেহ্’ নামক নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পাকিস্তান আরও একধাপ এগিয়ে গেল আগ্রাসী বার্তা পাঠাতে।
ভারতের পক্ষ থেকে এর আগেই সতর্ক করে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বেপরোয়া এবং স্পষ্ট উসকানিমূলক পদক্ষেপ। তবে তাতে পাত্তা না দিয়ে একের পর এক অস্ত্রশক্তি প্রদর্শন করে চলেছে ইসলামাবাদ।
এখন দেখার, এই উত্তেজনার আবহে নয়াদিল্লি কী পদক্ষেপ নেয়। ভারত-পাক সম্পর্কের ইতিহাসে এই মুহূর্তটি ফের একবার দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।