মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের (Pakistan) দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চল। কোয়েটার এক রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারালেন অন্তত ১১ জন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৮ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে (Pakistan)।
ঘটনাটি ঘটে কোয়েটার (Pakistan) একটি স্টেডিয়ামের পার্কিং এলাকায়। সেখানে বালুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) শতাধিক কর্মী সমবেত হয়েছিলেন। তাঁরা এসেছিলেন প্রয়াত জাতীয়তাবাদী নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সারদার আতাউল্লাহ মেঙ্গলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায়।
সরকারি আধিকারিক হামজা শফায়েত (Pakistan) জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে বিএনপি নেতা সারদার আখতার মেঙ্গলও উপস্থিত ছিলেন, তবে তিনি অক্ষত আছেন। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সভা শেষ হওয়ার পর যখন মানুষ বেরোচ্ছিলেন, তখনই পার্কিং এলাকায় বিস্ফোরণটি ঘটে।
পুলিশ (Pakistan) কর্মকর্তা আথার রশিদ জানিয়েছেন, ঘটনাটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ঘটনার পরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ ও সেনা বাহিনী।
একই দিনে উত্তর–পশ্চিম পাকিস্তানেও ভয়ঙ্কর হামলা
কোয়েটার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর–পশ্চিম পাকিস্তানের বান্নু এলাকায় ঘটে আরও একটি আত্মঘাতী হামলা। সেখানে এক সন্ত্রাসী বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি চালিয়ে ঢুকে পড়ে আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটির দেওয়ালে। তীব্র বিস্ফোরণে দেওয়াল ভেঙে যায়, আর সেই সুযোগে অন্যান্য জঙ্গিরা ঘাঁটির ভেতরে ঢুকে পড়ে।
এরপর টানা ১২ ঘণ্টা চলে বন্দুকযুদ্ধ। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১২ জন—যার মধ্যে ৬ জন নিরাপত্তারক্ষী ও ৬ জন হামলাকারী।
আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান সাজ্জাদ খান জানিয়েছেন, হামলাটি ছিল “সমন্বিত ও পরিকল্পিত”, যার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর ঘাঁটি দখল করা।