সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে একাধিকবার এক্সপোজ হওয়ার পর, পাকিস্তান (Pakistan) এখন বিশ্ব দরবারে নিজেদের “পরিচ্ছন্ন” দেখানোর মরিয়া চেষ্টায় নেমেছে। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিশেষ প্রতিনিধি দল গিয়ে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে একটি চিঠি হস্তান্তর করেছে।
এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Pakistan) শরিফের বিশেষ সহকারী সৈয়দ তারিক ফাতেমি। তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ-এর সঙ্গে দেখা করে দক্ষিণ এশিয়ার সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে একটি ব্রিফিং দেন।
এর আগে, ভারত থেকে একটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদল মস্কো সফরে গিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে রাশিয়াকে জানায়। এই ভারতীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি কারুণানিধি।
ভারতের বক্তব্য ছিল—পাকিস্তান থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসবাদে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই ঘটনার জবাবে ৬ মে রাত থেকে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ৮, ৯ ও ১০ মে ধারাবাহিকভাবে ভারতের সামরিক ঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলা চালায়। তিন রাত ধরে চলে সরাসরি সংঘর্ষ। শেষ পর্যন্ত ১০ মে পাকিস্তানের সামরিক প্রধান ভারতের প্রতিরক্ষা কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানান।
এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে রাশিয়ায় ‘বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা’ পৌঁছে দেওয়া এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, জ্বালানি, পরিবহন ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব—বিশেষজ্ঞদের মতে, এক প্রকার “ভবিষ্যৎ যুদ্ধ এড়ানোর কূটনৈতিক ভান”।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ এ প্রসঙ্গে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানকে সরাসরি আলোচনায় বসতে হবে এবং পারস্পরিক বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।