ভারতের সঙ্গে শান্তি-আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Pakistan) শেহবাজ শরিফ। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে কামরা বায়ুসেনা ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি (Pakistan) বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে শান্তির জন্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে তার শর্ত কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান।” যদিও ভারতের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট—জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ (Pakistan)।
এই শান্তি-বার্তার পটভূমিতে রয়েছে সম্প্রতি সংঘটিত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা। ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হলেও, তার আগে ৬-৭ মে মধ্যরাতে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ১১টি জঙ্গি ও সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে চরম অস্থিরতা এবং কূটনৈতিক চাপ বেড়েছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।
পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের সঙ্গে কামরা ঘাঁটিতে উপস্থিত ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী ইশাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ, সেনাপ্রধান আসিম মুনির, ও এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পাল্টা পদক্ষেপকে কড়া বার্তা বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরাও। মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক American Enterprise Institute-এর সিনিয়র ফেলো ও প্রাক্তন পেন্টাগন আধিকারিক মাইকেল রুবিন বলেন, “এই অপারেশনে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, সন্ত্রাসের উৎসস্থলে গিয়ে কেমনভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো যায়। পাকিস্তান সামরিক ও কূটনৈতিক—উভয় দিক থেকেই হার মানতে বাধ্য হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের কূটনৈতিক জয় হল, এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে পাকিস্তানের জঙ্গি-মদতদানের ভূমিকা নিয়ে। পাকিস্তানি সেনা পোশাকে জঙ্গিদের জানাজায় উপস্থিতির ছবি গোটা বিশ্বের চোখ খুলে দিয়েছে। একজন জঙ্গি ও এক আইএসআই আধিকারিকের মধ্যে পার্থক্য কোথায়, সেটা আজ আর লুকনোর জায়গা নেই।”
রুবিনের মতে, চারদিনের এই সংঘাতে পাকিস্তান ‘অত্যন্ত খারাপভাবে’ পরাস্ত হয়েছে এবং ভারত ‘যুদ্ধের ধরণই বদলে দিয়েছে’। বিশ্ব এখন ইসলামাবাদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ব্যবহারের প্রত্যাশা করছে।