ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরও স্বাভাবিক হয়নি পাকিস্তানের (Pakistan) রাহিম ইয়ার খান বিমানঘাঁটি। ইতিমধ্যেই তৃতীয়বারের মতো বন্ধ রাখা হলো ওই ঘাঁটির একমাত্র রানওয়ে, যা থেকে স্পষ্ট— ভারতের বিমানহানায় যে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও সারানো সম্ভব হয়নি (Pakistan)।
সবশেষে পাকিস্তান যে NOTAM (Notice to Airmen) জারি করেছে, তাতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত রানওয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে (Pakistan)। তবে তারা “কাজ চলছে” বলে দায়সারা বক্তব্য দিয়েছে, হামলার কথা স্বীকার করেনি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রথম NOTAM জারি হয়েছিল ১০ মে, অর্থাৎ যেদিন ভারতের যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের (Pakistan) অভ্যন্তরে ঢুকে অপারেশন সিঁদুর চালায়। সেই সময় এক সপ্তাহের জন্য রানওয়ে বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়। তারপর ৪ জুন আবার নোটাম জারি করে বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়ে ৪ জুলাই করা হয়, এবং এবার ফের একমাসের জন্য বন্ধ রাখা হলো বিমানঘাঁটি (Pakistan)।
এদিকে India Today-এর হাতে আসা স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, রাহিম ইয়ার খানের রানওয়ের মাঝখানে একটি বিশাল গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে এবং ঘাঁটির একাধিক কাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে।
এই বিমানঘাঁটি শুধু সামরিক নয়, Sheikh Zayed International Airport-এরও অংশ, অর্থাৎ এটি একটি দ্বৈত উদ্দেশ্যের বিমানবন্দর। এর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় ভারত মোট ১১টি সামরিক ঘাঁটিতে নিশানা করেছিল, যার মধ্যে এটি ছিল অন্যতম। ভারত এই হামলা চালিয়েছিল পহেলগাম জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর প্রতিশোধে। হামলার পর থেকেই পাকিস্তান চাপে পড়ে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে এই রাহিম ইয়ার খান বিমানঘাঁটির প্রসঙ্গ তোলেন রাজস্থানের বিকানেরে এক জনসভায়। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের রাহিম ইয়ার খান এখনও আইসিইউ-তে! কেউ জানে না কবে আবার চালু হবে!”— যা সরাসরি চিহ্ন করে দেয় ভারতের হামলার কার্যকারিতা।