আফগানিস্তানের আকাশে ফের দাউদাউ আগুন। মধ্যরাতের অন্ধকার ভেদ করে পাকিস্তানের (Pakistan) নিক্ষিপ্ত বোমা মুহূর্তে ঝরে পড়ল নিরীহ মানুষের ঘরে। মৃত্যু হলো নয় শিশু ও এক মহিলার। পাঁচ বালক, চার বালিকা—এক নিমেষে থেমে গেল দশটি জীবন। এমন ভয়াবহতার খবর জানালেন তালিবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ। তাঁর কথায়, পাকিস্তানের বাহিনী সরাসরি সাধারণ মানুষের বাড়ি লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, এই হামলা যুদ্ধ নয়, এক নির্মম মানবিক হত্যালীলা (Pakistan)।
আফগান সরকারের ক্ষোভ আরও তীব্র। দাবি, সামরিক ঘাঁটি নয়, টার্গেট করা হয়েছে সাধারণ মানুষের বাসস্থান (Pakistan)। মৃত্যুর পাশাপাশি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আহত হয়েছেন আরও চারজন আফগান নাগরিক। পাকিস্তানের তরফে অবশ্য এখনও একটিও মন্তব্য আসেনি। নীরবতা যেন তাদের পুরনো কূটনৈতিক অস্ত্র।
ডুরান্ড লাইনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের (Pakistan) সম্পর্ক আগেই টানটান; গত মাস থেকে সংঘর্ষ যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে। অবরুদ্ধ সীমান্তে রোজই বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতি। তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় তিন দফা বৈঠক হলেও শেষ পর্যন্ত কোনও সমাধান মেলেনি। ইসলামাবাদের (Pakistan) দাবি—তালিবান টিটিপি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করুক, তাদের তুলে দিক পাকিস্তানের হাতে। পাশাপাশি ডুরান্ড লাইনের ধারে একটি বাফার জোন তৈরির দাবিও চাপিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে তালিবান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, টিটিপিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ডুরান্ড লাইন নিয়ে পাকিস্তানের দাবি খারিজ করে তারা বলেছে, তাদের ভূমির সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস নেই। আর সেই রাজনৈতিক উত্তপ্ত অগ্ন্যুৎপাতের ধাক্কাই এবার কেড়ে নিল আরও দশটি নিরীহ প্রাণ।
এদিকে সংঘর্ষেরই মধ্যে ভারতকে টেনে এনে নতুন অভিযোগে সরব পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তাঁর দাবি, আফগানিস্তান ভারতের হাতের ‘পুতুল’ হয়ে নাচছে। সেই সঙ্গে তালিবানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসলামাবাদের উপর কোনও রকম হামলা হলে তার ৫০ গুণ প্রত্যাঘাত ফিরে আসবে। নতুন বছরের শুরুতেই দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে যে অশান্তির কালো ছায়া আরও ঘনীভূত হচ্ছে, তা ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক মহলে।













