ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের অন্তত আটটি সামরিক ঘাঁটিতে সফল হামলার ঠিক কয়েকদিন পর, চীন ও পাকিস্তানের সামরিক (Pakistan Army) কর্তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য চীনের বেইডু স্যাটেলাইট সিস্টেমের প্রবেশাধিকারে সহায়তা ও ভারতের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ জোরদার করা।
সূত্র অনুযায়ী, ১৬ মে অনুষ্ঠিত এই কৌশলগত বৈঠকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে (Pakistan Army) বর্ধিত স্যাটেলাইট কভারেজ এবং রিয়েল-টাইম নজরদারি ও সমন্বয়ের জন্য ৫জি প্রযুক্তির সংহতকরণ নিয়েও আলোচনা হয়।
এই বৈঠকের প্রেক্ষাপট হল ভারতের সদ্য সমাপ্ত ‘অপারেশন সিঁদুর’, যেখানে পাকিস্তানের প্রধান প্রতিরক্ষা (Pakistan Army) ব্যবস্থা এবং বিমানঘাঁটিগুলিতে সমন্বিত এবং নিখুঁত হামলা চালিয়ে বড়সড় সাফল্য অর্জন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
চীনের সহায়তা থাকা সত্ত্বেও, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের কাছে বড় ধরণের পরাজয় স্বীকার করে। ভারতের নিজস্ব অস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে সেনাবাহিনী পাকিস্তানকে চাপে রাখে।
পাকিস্তান (Pakistan Army) যেখানে চীনের তৈরি জেট ও মিসাইল ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেছিল, সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী সফলভাবে প্রতিহত করে ওই হামলা। ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরভাবে পাকিস্তানের পাল্টা আকাশ হামলাকে রুখে দেয়।
অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন, ভারত প্রায় ১০টি স্যাটেলাইট মোতায়েন করে পাকিস্তানের সেনা গতিবিধি নজরে রাখে, যার ফলে ভারতীয় সেনা আগেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে এবং কার্যকর পাল্টা আক্রমণ চালায়।
ভারতীয় বাহিনীর সুনির্দিষ্ট হামলায় পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট এবং যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়, যার জেরে পাকিস্তান সামরিকভাবে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই সংঘর্ষের পরে, ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেলস অফ মিলিটারি অপারেশন্স (DGMO)-এর মধ্যে একটি বোঝাপড়ায় পৌঁছানো হয়, যার মাধ্যমে উভয় পক্ষ সাময়িকভাবে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধে সম্মত হয়।