পহেলগাঁও হামলার জেরে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক (Pakistan)। জঙ্গি আক্রমণের পর ভারত যখন একের পর এক কূটনৈতিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ নিচ্ছে, ঠিক সেই সময় পাল্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাপ্রধান আসিম মুনির। রাওয়ালপিন্ডিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (Pakistan)বলেন, “পাকিস্তান v শান্তি চায়, তবে যদি দেশের সার্বভৌমত্ব বা আঞ্চলিক অখণ্ডতায় হুমকি আসে, তাহলে পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেওয়া হবে।”
এই বক্তব্য উঠে এসেছে এমন এক সময়ে, যখন একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে—পাকিস্তানের হাতে মাত্র চারদিন যুদ্ধ চালানোর মতো অস্ত্র মজুত রয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, অস্ত্র ও সামরিক রসদের ঘাটতির মুখে রয়েছে পাকিস্তান সেনা। তবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যে কোনওরকম দুর্বলতার ইঙ্গিত নেই। তিনি বলেন, “যারা বালুচ পরিচয়ের আড়ালে সন্ত্রাস চালায়, তারা বালুচদের গর্ব নয়, বরং কলঙ্ক।”
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসিম মুনির আরও জানিয়েছেন যে, পাকিস্তান দেশের সম্মান ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিক প্রাণ হারান, যাঁদের মধ্যে একজন স্থানীয় কাশ্মীরিও ছিলেন। এই নারকীয় হামলার পরই ভারত কঠোর অবস্থান নেয়। পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করে দেয় দিল্লি। বন্ধ করে দেওয়া হয় বাগলিহার বাঁধের গেট, যার ফলে চেনাব নদীর জলপ্রবাহ পাকিস্তানে প্রায় ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ককে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করা হয়।
সব মিলিয়ে, পহেলগাঁও হামলার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা এখন রীতিমতো সংঘাতের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।