পাকিস্তানের করাচিতে এক সংখ্যালঘু হিন্দু যুবককে (Hindu Man) নৃশংসভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে করাচিভিত্তিক মিডিয়া উদ্যোক্তা সালমান ফারুক এবং তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে। ভাইকে (Hindu Man) মারধর থামাতে কাকুতি-মিনতি করলেও পাত্তা পাননি ওই হিন্দু যুবকের বোন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয় এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে সালমান ফারুক ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয় (Hindu Man) ।
ঘটনার বিস্তারিত:
এফআইআরের (FIR) তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার সময় হিন্দু যুবক সুধীর ধুন রাজ (Hindu Man) মোটরসাইকেলে তার বোন কল্পনাকে পার্লার থেকে তুলে নিয়ে ছোট ভাইকে আনতে যাচ্ছিলেন। পথেই রাজের বাইক হালকা ভাবে সালমান ফারুকের গাড়ির গায়ে ধাক্কা লাগে। এর পরেই ফারুক ও তার দেহরক্ষীরা রাজকে ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করেন।
ক্ষমা চেয়েও রেহাই মেলেনি:
ভিডিওতে দেখা যায়, কল্পনা হাতজোড় করে কাঁদতে কাঁদতে ভাইকে (Hindu Man) ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করছেন। কিন্তু সালমান ফারুক তার কথা অগ্রাহ্য করে রাজকে মারধর করতে থাকেন। তিনি নিজে রাজের হাত চেপে ধরে রাখেন এবং দেহরক্ষীরা গাড়ির ভেতর থেকেই থাপ্পড় মারেন।
আইনি পদক্ষেপ:
এক প্রত্যক্ষদর্শী মুহাম্মদ সেলিমের অভিযোগের ভিত্তিতে গিজরি থানায় মামলা রুজু হয়। অভিযোগে বলা হয়, সালমান তার দেহরক্ষীদের দিয়ে বন্দুক দেখিয়ে রাজকে ভয় দেখান, গাড়ির মধ্যে আটকে রাখেন এবং প্রাণনাশের হুমকি ও গালিগালাজ করেন।
পুলিশ জানায়, ভাই-বোনের বাড়ি এখন তালাবদ্ধ। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার আদালত সালমান ফারুক ও আরেক অভিযুক্তের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ:
ভিডিওটি ভাইরাল হতেই পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সোচ্চার হয়ে ওঠে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর এমন বর্বর আচরণ এবং একজন মহিলার আকুল আর্তিকে উপেক্ষা করে মারধর চালানোয় জনগণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।