মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)-এর আঘাতে কার্যত কেঁপে উঠেছে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর (Operation Sindoor)। হামলায় জঙ্গিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ধাক্কা খেয়েছে ইসলামাবাদের মুখ (Operation Sindoor)। এমন পরিস্থিতিতে এবার মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে পাকিস্তান (Operation Sindoor)। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে, জবাবি হামলায় তারা নাকি তিনটি রাফালে-সহ মোট পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দিয়েছে (Operation Sindoor)।
তবে এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভুয়ো বলেই উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। জানানো হয়েছে, অপারেশনের সময় ভারতের কোনও যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এমনকি পাকিস্তান যেসব ছবি-ভিডিও ছড়িয়েছে, সেগুলিও পুরনো এবং বাস্তবতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
পাকিস্তানের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় মিথ্যাচার। ‘শোহেল তারিফ’ নামে এক ব্যক্তি টুইট করেন, “একাধিকবার যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হয়েছি, পাকিস্তানি বাহিনী ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে।” সেইসঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় একটি ভিডিও, যা বাস্তবে অন্য সময়ের ও অন্য দেশের ফুটেজ বলেই জানা যাচ্ছে।
এই ভুয়ো প্রচারে অংশ নেয় বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-ও। তারা রয়টার্সের সূত্র উল্লেখ করে দাবি করে, “তিনটি রাফাল, একটি মিগ-সহ ভারতের মোট পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান।” অন্য একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়, আখনুর ও ভাটিন্ডায় ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে পাকিস্তান। যদিও বাস্তবে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনা অত্যন্ত সফলভাবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। সেনা সূত্রে খবর, এই হামলায় অন্তত ৮০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠনের একাধিক প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি হামলায় লস্কর প্রধান হাফিজ সৈয়দ ও জইশ প্রধান মাসুদ আজাহারের পরিবারের সদস্যরাও নিহত হয়েছেন বলে খবর।
এই জবাবি হামলার পর ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক সাফল্যের সামনে ভেঙে পড়েছে পাকিস্তান। আর তাই দেশের অভ্যন্তরে ক্ষোভ প্রশমনে আন্তর্জাতিক মহলে বিভ্রান্তি ছড়াতেই মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসলামাবাদ।