এথেন্স সফরে গ্রিস সরকারের কাছ থেকে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে (Operation Sindoor) ভারতের প্রতি জোরালো সমর্থন পেল কানিমোঝির নেতৃত্বাধীন সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে তুরস্কের মতো দেশগুলিকে যে ভারত বয়কট করেছে, গ্রিস সেই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে (Operation Sindoor)। ইতিহাস ও সীমান্তসংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধের কারণে গ্রিস-তুরস্ক সম্পর্ক বরাবরই জটিল।
এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি ছাড়াও রাজীব রাই (সমাজবাদী পার্টি), মিয়ান অলতাফ আহমদ (জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স), ব্রজেশ চৌটা (বিজেপি), প্রেমচন্দ গুপ্ত (আরজেডি), অশোক কুমার মিত্তল (আপ), প্রাক্তন কূটনীতিক মঞ্জীব এস পুরি ও জাওয়েদ আশরফ। প্রতিনিধি দলের লক্ষ্য ছিল (Operation Sindoor) আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী অবস্থান তুলে ধরা।
সূত্র জানায়, গ্রিস ভারতের পহেলগাম জঙ্গি হানায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে এবং ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এর মতো পাল্টা প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে, পাকিস্তান যে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে, তা প্রকাশ্যে আনতে ভারতের পাশে থাকবে।
প্রতিনিধি দল গ্রিস সরকারের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও সেখানকার থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলির সঙ্গেও মতবিনিময় করেছে (Operation Sindoor)। আলোচনায় উঠে এসেছে ভারত-পাকিস্তানের ইতিহাস, পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটির উপর ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান। আলোচনা হয়েছে কেন এই অভিযান এখনও অসম্পূর্ণ ও স্থগিত।
সমাজবাদী পার্টির রাজীব রাই সোশ্যাল মিডিয়া X-এ গ্রিসের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, এই বিষয়ে ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলির ঐক্য অটুট। তিনি বলেন, “পাকিস্তানে কার সঙ্গে কথা হবে? সন্ত্রাসে জড়িত সে দেশের সেনাবাহিনী ও সরকার নিজেরাই।” কাশ্মীর, কারগিল, সংসদ, অক্ষরধাম, পাঠানকোট ও উরির মতো হামলার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
প্রতিনিধি দলের এই সফর শুরু হয়েছিল রাশিয়া থেকে। এরপর স্লোভেনিয়া, গ্রিস এবং এবার যাচ্ছে লাটভিয়ার রিগা ও পরবর্তী গন্তব্য স্পেনের মাদ্রিদ। প্রতিনিধি দল জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরবে।