সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘর্ষের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের (Nuclear Attack) পরিকল্পনা ছিল না পাকিস্তানের। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার জানান, “আমাদের কাছে আত্মরক্ষার বাইরে কোনও বিকল্প ছিল না (Nuclear Attack)।” তিনি বলেন, ভারতের ৭ মে-র সীমান্ত অতিক্রমকারী হামলার জবাবে পাকিস্তান এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় (Nuclear Attack)।
এই হামলা-পাল্টা হামলার ফলে দুই দেশের মধ্যে ১৯৭১ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, যেখানে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ইসহাক দার ভারতের হামলাকে “যুদ্ধ” ও “কাশ্মীর অঞ্চলে আধিপত্য কায়েমের প্রচেষ্টা” বলে অভিহিত করেন, তবে জানান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা কখনোই ভাবা হয়নি।
“আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমাদের প্রচলিত সামরিক শক্তিই যথেষ্ট,” বলেন দার। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা চীনা তৈরি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবির কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
শেষ পর্যন্ত মার্কিন মধ্যস্থতায় শনিবার দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, “আমরা শুধু বিরতি নিয়েছি, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াই থেমে যায়নি।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিন্ধুর আমাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নতুন যুগের সূচনা করেছে।”
অন্যদিকে, দার বলেন, কোনও পাক-ভারত সরাসরি আলোচনা হয়নি; বরং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদান হয়। রুবিও এক বিবৃতিতে জানান, তিনি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স দুই দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করান।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে দার বলেন, “এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের জন্য আত্মনির্ধারণের অধিকার থাকা উচিত।” তিনি জানান, কাশ্মীরের জলসম্পদ সংক্রান্ত বিরোধ মিটবে না হলে যুদ্ধবিরতি বিপন্ন হতে পারে। ভারতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি বড় নদীর প্রবাহ আটকে দেওয়া “যুদ্ধ ঘোষণার সমান” বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে স্থায়ী শান্তি এবং সম্মানজনক সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।