Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • শেষ আলোটুকুও নিভে গেল? ফাঁসির মুখে কেরলের নার্স নিমিশা, ব্লাড মানি নিতে অস্বীকার নিহতের পরিবার!
বিদেশ

শেষ আলোটুকুও নিভে গেল? ফাঁসির মুখে কেরলের নার্স নিমিশা, ব্লাড মানি নিতে অস্বীকার নিহতের পরিবার!

nimisha kerala nurse
Email :14

কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) জীবন এখন এক দণ্ড ফাঁসির দোলাচলে ঝুলছে। যেটুকু আশার আলো ছিল, সেটুকুও কি নিভে গেল? ইয়েমেনে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিমিশার শেষ ভরসা ছিল ‘ব্লাড মানি’ বা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে নিহতের পরিবারের ক্ষমা পাওয়া। কিন্তু সেই আশাতেই জল ঢেলে দিল নিহত তালাল আবদো মাহদির পরিবার। তারা জানিয়ে দিয়েছে, ব্লাড মানি নয়, তারা চায় ফাঁসি—কারণ এটা তাদের ‘সম্মানের’ প্রশ্ন (Nimisha Priya) ।

২০২০ সালে ইয়েমেনের আদালত নিমিশাকে (Nimisha Priya) দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ৩৮ বছরের এই নার্স ইয়েমেনে গিয়েছিলেন কাজ করতে। পরে স্থানীয় নাগরিক তালালের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ক্লিনিক খোলেন (Nimisha Priya) । কিন্তু ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে। অভিযোগ, তালাল তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। এমনকি নিমিশার (Nimisha Priya) পাসপোর্টও কেড়ে নেন তিনি। দেশে ফিরতে চাইলে বাধা দেন। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই নিমিশা একটি ঘুমের ইনজেকশন দেন তালালকে। তবে ওভারডোজ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর দেহ লোপাটের চেষ্টা করেন নিমিশা—দেহ কেটে জলের ট্যাঙ্কে লুকিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু বিমানবন্দরে ধরা পড়ে যান তিনি (Nimisha Priya) ।

যেহেতু এটি একটি ইসলামিক দেশ, তাই ইয়েমেনের আইন অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করে দিতে পারে নিহতের পরিবার (Nimisha Priya) —এর জন্য দেওয়া হয় ব্লাড মানি। সেই পথেই এগিয়েছিল ভারত ও নিমিশা প্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিল। বহু টাকা জোগাড় করে বারবার তালালের পরিবারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, যেন তাঁরা ক্ষমা করে দেন নিমিশাকে। কিন্তু মঙ্গলবার সেই সম্ভাবনা একপ্রকার শেষ হয়ে গেল। নিহতের পরিবার জানিয়ে দিল, তাঁরা কোনওভাবেই নিমিশাকে ক্ষমা করতে রাজি নন, এমনকী ব্লাড মানিও নিতে চান না। এটিকে ‘সম্মানের বিষয়’ বলে অভিহিত করেছেন তাঁরা।

যদিও এখনই হাল ছাড়ছে না কাউন্সিল। তাদের তরফে কোর কমিটির সদস্য দীনেশ নায়ার জানিয়েছেন, “আমরা এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এটা কোনও ব্যক্তিগত মামলা নয়, এটা একজন ভারতীয় নাগরিকের প্রাণ রক্ষার লড়াই।”

আগামী ১৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। সেদিনের রায়েই স্পষ্ট হবে, শেষ পর্যন্ত বেঁচে ফেরার কোনও সম্ভাবনা আদৌ রয়েছে কি না নিমিশার ভাগ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts