বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। সম্প্রতি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের (Bangladesh) নির্ধারিত আমেরিকা সফর শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দেওয়ায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর (Bangladesh) সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
১১ মে জেনারেল জামানের পাঁচ দিনের মার্কিন সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সফরের দিন সকালেই হঠাৎ করে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। এই সফর বাতিলের কোনও কারণ এখনও জানায়নি দেশের অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
এর মধ্যেই পাকিস্তানের হাই কমিশনার সইদ আমেদ মারুফ আচমকাই ঢাকা ত্যাগ করেন। যেদিন সেনাপ্রধানের সফর বাতিল হয়, সেদিনই হাই কমিশনারকে ইসলামাবাদ থেকে তড়িঘড়ি দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। মারুফ ঢাকায় থাকাকালীন কক্সবাজারের এক হোটেলে অবস্থান করছিলেন এবং গোপনে জামাত-ই-ইসলামি ও আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে সূত্রের খবর।
তড়িঘড়ি দেশে ফেরার সময় মারুফকে জিন্স ও টি-শার্ট পরা অবস্থায় বিমানবন্দরে দেখা যায়, যা নিয়ে কূটনৈতিক মহলেও কৌতূহল ছড়িয়েছে।
এদিকে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সম্প্রতি সেনার গুরুত্বপূর্ণ দুই শীর্ষ কর্মকর্তা — নবম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল মইন খান ও চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকের সঙ্গে সফর বাতিলের কোনও সংযোগ আছে কি না, তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ।
রাজনৈতিক মঞ্চেও উত্তাপ বাড়ছে। আওয়ামি লীগের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি-সহ একাধিক বিরোধী দল। এমনকি জামাত-ই-ইসলামিও জানিয়েছে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই নেওয়া উচিত ছিল।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ যেন এক সংকটময় রাজনৈতিক মোড়ের সামনে দাঁড়িয়ে — যেখানে সেনা, সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম ভারসাম্য একযোগে প্রশ্নের মুখে।