বাংলাদেশের মতো নেপালও (Nepal) এখন রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থায়। ছাত্র ও যুব সমাজের আন্দোলনে দেশের প্রধানমন্ত্রীদের একের পর এক পদত্যাগ করতে হয়েছে। অবশেষে বাংলাদেশের মতো নেপালেও (Nepal) গঠন হতে চলেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর এই সরকারের প্রধান হিসেবে এগিয়ে আসছেন এক অচেনা অথচ ঐতিহাসিক নাম— সুশীলা কারকি।
কে এই সুশীলা কারকি?
৭২ বছরের এই নারী নেপালের (Nepal) ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। ২০১৬ সালে তাঁকে এই পদে বসিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। তবে তাঁর নাম সুপারিশ করেছিলেন সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এরপর থেকেই দেশের বিচারব্যবস্থায় তিনি হয়ে ওঠেন শক্তিশালী এক মুখ।
সুশীলার সঙ্গে ভারতের যোগও কম নয়। তিনি পড়াশোনা করেছেন বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে। এখানেই তিনি শুধু ডিগ্রি অর্জন করেননি, পাশাপাশি শিখেছিলেন নাচও, যা আজও তাঁর জীবনের বিশেষ স্মৃতি হয়ে রয়েছে (Nepal) ।
আইনজীবী হওয়ার আগে সুশীলা ছিলেন শিক্ষিকা। সেই সময় থেকেই সাহসী ও নির্ভীক ব্যক্তিত্ব হিসেবে খ্যাতি পান। দুর্নীতিকে তিনি কখনও সহ্য করেননি— এই ভাবমূর্তি তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।
২০০৬ সালে নেপালের সংবিধান খসড়া প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি কাজ করেছিলেন। তিন বছর পর, অর্থাৎ ২০০৯ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। মাত্র এক বছর পরেই স্থায়ী বিচারপতির আসন দখল করেন। এরপর ধাপে ধাপে এগিয়ে ২০১৬ সালে তিনি প্রথমে ভারপ্রাপ্ত, তারপর স্থায়ী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান। এবার সেই একই হাতে দেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দায়িত্ব তুলে দিতে চলেছে নেপাল।
বিচার ব্যবস্থায় যিনি দুর্নীতি ও চাপের কাছে মাথা নোয়াননি, তিনি কি এবার রাজনৈতিক অস্থিরতার এই কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন? নেপালের মানুষ এখন তাকিয়ে আছেন সেদিকেই।nepal former judge sushila