ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা ইরানের আরাক পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর লক্ষ্য করে রাতে হামলা চালিয়েছে (Missile Attack) এবং নাটাঞ্জ এলাকায় একটি পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন কেন্দ্রকেও টার্গেট করেছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে আরাক, যা বর্তমানে ‘খন্ডাব’ নামে পরিচিত, সেখানে একটি ভারী জল-ভিত্তিক গবেষণা রিঅ্যাক্টর আংশিকভাবে নির্মিত হয়েছিল (Missile Attack)।
বৃহস্পতিবার সকালে ইরানি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, খন্ডাব পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল এবং দুটি ক্ষেপণাস্ত্র (Missile Attack) ঐ এলাকার কাছাকাছি আঘাত হানে। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের বরাতে জানানো হয়েছে, হামলার আগে সেখানে নিরাপত্তার খাতিরে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং হামলার ফলে কোনো রেডিয়েশন বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য জানানো হয়নি (Missile Attack)।
নাটাঞ্জ, যেটি ইজরায়েলের আগের হামলার (Missile Attack) লক্ষ্য হয়েছিল, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কেন্দ্রীয় এলাকা। এখানে দুটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র রয়েছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা আরাক রিঅ্যাক্টরের মূল কোর সিলের গঠন অংশটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যেটিকে তারা প্লুটোনিয়াম উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
খন্ডাব স্থাপনাটি মূলত একটি ভারী জলভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র, যার নির্মাণ ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির পর বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় রিঅ্যাক্টরের মূল কোর খুলে ফেলে তা কংক্রিট দিয়ে পূর্ণ করে দেওয়া হয়, যাতে তা আর ব্যবহারযোগ্য না থাকে।
তবে ইরান জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থাকে আগেই জানিয়েছিল যে, তারা এই রিঅ্যাক্টরটি ২০২৬ সালের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা করছে। ভারী জল রিঅ্যাক্টর পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের ক্ষেত্রে একটি বড় ঝুঁকি বহন করে, কারণ এই ধরনের রিঅ্যাক্টর থেকে সহজেই প্লুটোনিয়াম তৈরি করা যায়, যা একটি পারমাণবিক বোমার কোর তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ইরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে এবং তারা কোনো ধরনের অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে না। কিন্তু ইজরায়েল এই দাবিকে মানতে নারাজ এবং নিয়মিত ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ঘটনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।