Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “আমাদের শিকড় আপনি মুছে দিতে পারবেন না!” — অভিবাসীদের সন্তানের সাহসী জবাব ট্রাম্পকে!
বিদেশ

“আমাদের শিকড় আপনি মুছে দিতে পারবেন না!” — অভিবাসীদের সন্তানের সাহসী জবাব ট্রাম্পকে!

La protest with mexican flags
Email :13

৭ জুন থেকে লস অ্যাঞ্জেলসে ( Los Angeles) যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, সেখানে মেক্সিকোর সবুজ, সাদা ও লাল ডোরা পতাকা হয়ে উঠেছে এক অসাধারণ প্রতীক। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের জেরে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। ICE (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) সংস্থা কর্মস্থলে হানা দিয়ে কেবলমাত্র লস অ্যাঞ্জেলসেই ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করে।

শহরজুড়ে ( Los Angeles) আটক কেন্দ্র থেকে শুরু করে শেরিফ অফিস পর্যন্ত, মেক্সিকোর পতাকা উড়ছে প্রতিবাদকারীদের হাতে। এটি শুধু প্রতিক্রিয়ার প্রতীক নয়, বরং ইতিহাস, আত্মপরিচয় ও ঐক্যের প্রকাশ। অনেকের জন্য এই পতাকা তাদের শিকড়ের প্রতি গর্ব এবং অভিবাসীদের সঙ্গে সংহতির চিহ্ন।

একজন লস অ্যাঞ্জেলস-ভিত্তিক ( Los Angeles) অধ্যাপক ক্রিস জেপেডা-মিলান বলেন, “এই আন্দোলনকারীরা অভিবাসীদের সন্তান এবং নাতি-নাতনি। আমরা কখনোই আমাদের পূর্বপুরুষদের পরিচয় নিয়ে লজ্জিত হব না।”

আগের অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভগুলোতে আমেরিকান পতাকা ( Los Angeles) ব্যবহার করতে উৎসাহ দেওয়া হতো যাতে মার্কিন মূল্যবোধের প্রতি আনুগত্য বোঝানো যায়। কিন্তু এবার দৃশ্যপট বদলেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ( Los Angeles) এই প্রতিবাদগুলোকে ‘বিদ্রোহ’ বলে অভিহিত করেছে কারণ এখানে মেক্সিকোর পতাকা বিশেষভাবে চোখে পড়ছে। অথচ লস অ্যাঞ্জেলসের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, এটি একসময় মেক্সিকোর অংশ ছিল। ১৭৮১ সালে ‘এল পুয়েবলো দে নুয়েস্ত্রা সেয়োরা লা রেইনা দে লস অ্যাঞ্জেলেস’ নামে অঞ্চলটি গড়ে ওঠে স্প্যানিশ শাসকের অধীনে। ১৮২১ সালে মেক্সিকোর স্বাধীনতার পর এটি মেক্সিকান প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে ১৮৪৮ সালে গাদলুপ হিদালগো চুক্তির মাধ্যমে অঞ্চলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে চলে যায়।

প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান ( Los Angeles) চুক্তির কারণে মেক্সিকান অভিবাসীদের আগমন বেড়ে যায়। আজকের দিনে লস অ্যাঞ্জেলসের এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা মেক্সিকান বংশোদ্ভূত।

La protest
মুখোশ পরে বিক্ষোভ

এই পতাকা আবার স্মরণ করিয়ে দেয় ৬০ ও ৭০-এর দশকের চিকানো আন্দোলনের কথা, যখন কর্ম ও নাগরিক অধিকারের জন্য আন্দোলন চালিয়েছিলেন সিজার চাভেজ ও ডলোরেস হুয়ের্তা। সেই সময়েও এই পতাকা ছিল প্রতিরোধের প্রতীক।

তবে সবাই এই প্রতীকের ব্যবহারকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন না। অ্যারিজোনা রিপাবলিকের কলামিস্ট ফিল বোয়াস বলছেন, এতে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের একাংশ বিরূপ হতে পারে। অন্যদিকে লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসের লেখক গুস্তাভো আরেল্লানো এই কাজকে ‘ভালো বিদ্রোহ’ বলে আখ্যা দেন — এমন এক সাহসী বার্তা যা চ্যালেঞ্জ করে শাসককে।

এদিকে মেক্সিকান সরকার জানিয়েছে, ICE-এর হানায় আটক ৪২ জন মেক্সিকান নাগরিকের মধ্যে ৫ জন নারী ও ৩৭ জন পুরুষ, যাদের মধ্যে ইতোমধ্যেই ৪ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts