Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • অমরনাথ যাত্রার আগে পাকিস্তানের বড় চক্রান্ত! মসজিদে বাজল জইশ প্রধানের জেহাদি বার্তা, সামনে এলো ৩০,০০০ সন্ত্রাসবাদীর বাহিনী!
বিদেশ

অমরনাথ যাত্রার আগে পাকিস্তানের বড় চক্রান্ত! মসজিদে বাজল জইশ প্রধানের জেহাদি বার্তা, সামনে এলো ৩০,০০০ সন্ত্রাসবাদীর বাহিনী!

masood azhar
Email :2

পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের এক মসজিদে সম্প্রতি বাজানো হয় একটি বিস্ফোরক অডিও বার্তা, যেখানে জাতিসংঘ-ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী ও জইশ-ই-মোহাম্মদের (Masood Azhar) প্রধান মাসুদ আজহার প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী জেহাদের ডাক দেয়। CNN-News18–এর হাতে আসা এক্সক্লুসিভ অডিওতে মাসুদ আজহার (Masood Azhar) দাবি করে, “অন্যদের কাছে অনেক কিছু থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের আছে ফিদায়িন। মুজাহিদের জন্য যে অর্থ আসবে, তা জিহাদের জন্যই ব্যবহার হবে। পাকিস্তানকে মুজাহিদের আশীর্বাদ যতটা দরকার, ততটাই দরকার বড় ধর্মগুরুরাও।”

আজহারের (Masood Azhar) মতে, জইশ-ই-মোহাম্মদের কাছে বর্তমানে ৩০,০০০ কর্মী এবং ১০,০০০ আত্মঘাতী ফিদায়িন প্রস্তুত, যাদের কেউ আটকাতে পারবে না—না কোনো মিসাইল, না কোনো বাহিনী।

শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের সফল হামলার পর পাকিস্তান ফের মাসুদ আজহারকে (Masood Azhar) সক্রিয় করছে এক “কৌশলগত সম্পদ” হিসেবে। বলা হচ্ছে, এই অডিও রিলিজ ইচ্ছাকৃত উস্কানি, যার লক্ষ্য অমরনাথ যাত্রাকে ব্যাহত করা এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত করা।

সূত্র মারফত জানা গেছে, এই হুমকি শুধু মৌখিক নয়—এ এক ‘কোডেড কল ফর টেরর ফাইন্যান্সিং’, যেখানে বিদেশি অনুগামীদের ও হাওয়ালা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আসন্ন হামলার জন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে (Masood Azhar) । পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর ও উপসাগরীয় দেশগুলিতে আবার সক্রিয় হচ্ছে টেরর ফান্ডিং চেইন।

আত্মঘাতী জঙ্গিদের প্রশংসা করে আজহারের এই বার্তা, পাকিস্তানের কৌশলগত বদলের ইঙ্গিত—এখন লোন উলফ, আত্মঘাতী হামলা ও হাইব্রিড জঙ্গিদের উপরেই জোর দিচ্ছে পাক এজেন্সিগুলি। দক্ষিণ পাঞ্জাব ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-এর মাদ্রাসাগুলিকে এই কাজে পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মাসুদ আজহার সেই ব্যক্তি যাঁর নেতৃত্বে ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন, এবং যার ফলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা তীব্র হয়ে ওঠে।

আজহারের অতীত ঘাঁটলে উঠে আসে এক রক্তাক্ত ইতিহাস। ১৯৬৮ সালে বাহাওয়ালপুরে জন্ম, তারপর করাচির একটি মাদ্রাসায় ভর্তি—সেখানে থেকেই শুরু জিহাদের পথে যাত্রা। সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধে অংশগ্রহণের চেষ্টা, হরকত-উল-মুজাহিদিনে যোগ, ও পরে কাশ্মীরে সন্ত্রাস চালাতে দুই জঙ্গি গোষ্ঠীকে একত্রিত করে তৈরি করে হরকত-উল-আনসার।

তাঁর জঙ্গি সংগঠনগুলিতে যুক্তরাজ্য সহ বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়োগ করা হত সদস্য। এবং আজ, সেই মাসুদ আজহার ফের উঠে এসেছে পাকিস্তানের মঞ্চে—এইবার প্রকাশ্যে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনীর গর্বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts