সোমবার রাতে লস অ্যাঞ্জেলস (Los Angeles) শহরের ডাউনটাউন এলাকায় অভিবাসনবিরোধী ধরপাকড়ের প্রতিবাদ বিক্ষোভ হঠাৎই হিংসাত্মক রূপ নেয়। এ সময় মুখোশধারী দুষ্কৃতীরা অ্যাপল স্টোরসহ একাধিক দোকানে চুরি ও ভাঙচুর চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। শহরে শুক্রবার থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে (Los Angeles) বিক্ষোভের মধ্যেই একটি সংঘবদ্ধ দল মুখে মুখোশ পরে অ্যাপল স্টোরে হামলা চালায়। তারা জানালার কাচ ভেঙে ভিতরে ঢুকে পণ্য লুট করে এবং ভবনের গায়ে গ্রাফিতি আঁকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যাপল স্টোর ছাড়াও আরও কয়েকটি দোকানে হামলা হয়েছে (Los Angeles) — এর মধ্যে রয়েছে অ্যাডিডাস স্টোর, একটি ফার্মেসি, একটি স্বর্ণালঙ্কারের দোকান। এসব দোকানের তাক একেবারে খালি করে দেওয়া হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশের কর্মকর্তা ক্রিস মিলার জানান, অ্যাপল স্টোর (Los Angeles) ভাঙচুরের ঘটনায় এক মহিলাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনবিসি লস অ্যাঞ্জেলস জানায়, আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মোট কতজনকে সোমবার রাতের সহিংসতার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ।
সপ্তাহান্তে আগে থেকেই পুলিশ অন্তত ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের মধ্যে একজন পুলিশের ওপর মলোটভ ককটেল ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশপ্রধান (Los Angeles) জিম ম্যাকডনেল জানান, কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশদের লক্ষ্য করে উচ্চক্ষমতার আতশবাজিও ব্যবহার করেছে।

এই সহিংসতা ও ভাঙচুরের প্রেক্ষিতে ‘হিস্টোরিক কোর বিজনেস ইমপ্রুভমেন্ট ডিস্ট্রিক্ট’ শহর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে যেন দ্রুত কারফিউ জারি করা হয়। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ব্লেয়ার বেস্টেন জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তাও চেয়েছেন।
এদিকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আড়ালে ঘটে যাওয়া এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শহরের মেয়র ও স্থানীয় নেতারা। লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, “যারা ডাউনটাউন ধ্বংস করেছে বা দোকান লুট করেছে, তারা আমাদের অভিবাসী সম্প্রদায়কে একটুও ভালোবাসে না। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।”
এদিনই আরও আগে, শত শত মানুষ গ্লোরিয়া মোলিনা গ্র্যান্ড পার্কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেন, আগামী সপ্তাহান্তে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য সেনাবাহিনীর ২৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যে সামরিক কুচকাওয়াজ হবে, সেখানে কেউ বিক্ষোভ দেখাতে গেলে কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যারা বিক্ষোভ করতে চায়, তাদের জন্য বড় রকমের শক্তি অপেক্ষা করছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের স্পেশাল এজেন্ট ম্যাট ম্যাককুল জানান, শনিবারের কুচকাওয়াজে কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় হতে পারে, এবং সে অনুযায়ী নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।