Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • বাংলাদেশি শ্রমিকরাই কি আইএস-এর হাতিয়ার? মালয়েশিয়ায় গ্রেফতারির ঝড়!
বিদেশ

বাংলাদেশি শ্রমিকরাই কি আইএস-এর হাতিয়ার? মালয়েশিয়ায় গ্রেফতারির ঝড়!

malsyia
Email :10

মালয়েশিয়ায় বড়সড় সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযানে গ্রেফতার ৩৬ জন বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক! এপ্রিল থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর ও জোহর প্রদেশজুড়ে মালয়েশিয়ান পুলিশের পরিচালিত বহুপর্যায়ের ‘কাউন্টার টেরর অপারেশন’-এ এই বাংলাদেশিদের (Bangladeshi) গ্রেফতার করা হয়। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ধৃতরা ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর মতাদর্শ প্রচার, জঙ্গি নিয়োগ এবং বাংলাদেশের সরকারকে বিদেশ থেকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত।

বিশ্বব্যাপী জঙ্গি তৎপরতার এক ভয়ঙ্কর প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই গ্রেফতার। শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রে সিএনএন নিউজ১৮ জানিয়েছে, এই ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়—বরং এটি একটি বড় জিহাদি নেটওয়ার্কের অংশ। আইএস এবং জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (Bangladeshi) (জেএমবি)-র মতো সংগঠন এখন অবৈধ অভিবাসন, শ্রমবাজার এবং অর্থনৈতিক দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে বিদেশের মাটিতে জঙ্গি কাঠামো গড়ে তুলছে।

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি (Bangladeshi) শ্রমিক রয়েছেন, যাদের অনেকেই অনিবন্ধিত। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। শ্রমিক শিবির, হোস্টেল এবং মসজিদে প্রচারের মাধ্যমে তাদের ধীরে ধীরে চরমপন্থায় দীক্ষিত করা হচ্ছে (Bangladeshi)।

২০১৬ সালের পর বাংলাদেশের কড়া সন্ত্রাসদমন অভিযানে অনেক জেএমবি সদস্য দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইতালিতে পালিয়ে যায়। সেখান থেকেই তারা গোপনে সংগঠনের পুনর্গঠন করে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিমপ্রধান দেশগুলো এখন জিহাদি কার্যকলাপের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে। শুধু মালয়েশিয়া নয়—সৌদি আরব, ইতালি, সিঙ্গাপুরেও ধরা পড়েছে একই প্রবণতা।

২০১৯ সালে সৌদির দাম্মাম থেকে ১৪ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে অস্ত্রসহ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ২০২১ সালে ইতালিতে ভুয়ো এনজিওর আড়ালে অর্থ পাচার করে জেএমবি সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসায় তহবিল পাঠানোর অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালে সিঙ্গাপুরে শেখ হাসিনার সফরের সময় হামলার পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগে ২৬ জন বাংলাদেশিকে বহিষ্কার করা হয়।

এর সঙ্গে রোহিঙ্গা শিবিরগুলিরও যোগসূত্র রয়েছে। কক্সবাজারের উদ্বাস্তু ক্যাম্পগুলোকে জেএমবি এবং AQIS (আল কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট)-এর নিয়োগ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের।

এই হুমকি ভারতের দোরগোড়াতেও পৌঁছে গেছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ১৯ জন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা। এদের বিরুদ্ধে ভারতের ২০১৪ সালের বর্ধমান বিস্ফোরণ ও ২০১৮ সালের বৌদ্ধগয়া বোমা ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts