Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • ‘টুইটার কিলার’ শেষমেশ ফাঁসিতে! জাপানের হাড় হিম করা সিরিয়াল কিলার টাকাহিরোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর!
বিদেশ

‘টুইটার কিলার’ শেষমেশ ফাঁসিতে! জাপানের হাড় হিম করা সিরিয়াল কিলার টাকাহিরোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর!

twitter killer
Email :14

২০১৭ সালের ভয়ঙ্কর সিরিয়াল হত্যা মামলার সাজা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হল জাপানে (Twitter Killer)। ছ’বছর আগে নয় জনকে খুন করার দায়ে অভিযুক্ত এবং ‘টুইটার কিলার’ নামে কুখ্যাত টাকাহিরো শিরাইশিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হল। ২০২২ সালের পর এই প্রথম জাপানে কোনও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৪ (Twitter Killer)।

টাকাহিরো শিরাইশির (Twitter Killer) বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সোশ্যাল মিডিয়া, মূলত এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এর মাধ্যমে তরুণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, যাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বা আত্মহত্যার কথা ভাবতেন। বয়স ছিল ১৫ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে। তাঁদের তিনি আত্মহত্যার সহায়তার প্রলোভন দিয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ডেকে নিতেন এবং সেখানেই তাঁদের হত্যা (Twitter Killer) করতেন।

জাপানের বিচারমন্ত্রী কেইসুকে সুজুকি জানান, টাকাহিরো শিরাইশি নয় জনকে— যাঁদের মধ্যে আটজন মহিলা ও একজন পুরুষ— নির্মমভাবে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন (Twitter Killer)। পরে দেহগুলি টুকরো করে বিভিন্ন বাক্সে রেখে দেন বা বর্জ্য ফেলার জায়গায় ফেলে দেন। তিনি জানান, “এই অপরাধ কেবল নিষ্ঠুর নয়, গোটা সমাজকে চরমভাবে ধাক্কা দিয়েছে। বহু চিন্তা-ভাবনার পরই আমি তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিই।”

২০১৭ সালে এক ২৩ বছরের মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মহত্যার ইচ্ছার কথা লিখেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর খোঁজ করতে করতেই পুলিশের নজরে আসে শিরাইশির ভয়ঙ্কর কাজকর্ম। তদন্তে উঠে আসে, তিনি খুনের পর মৃতদেহের অংশ বিশেষ কুলার বাক্সে ফ্রিজে রেখে দিতেন নিজের অ্যাপার্টমেন্টে।

শিরাইশির আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, নিহতরা (Twitter Killer) নাকি নিজেরাই মৃত্যুর জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন। তবে আদালত তা খারিজ করে দেন এবং ২০২০ সালেই তাঁর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা হয়।

জাপানে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা থাকলেও, দেশটির জনগণের মধ্যে এই শাস্তির ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। ২০২৪ সালের এক সরকারি সমীক্ষা অনুযায়ী, ৮৩ শতাংশ মানুষ মৃত্যুদণ্ডকে “অপরিহার্য” বলে মনে করেন।

জাপানে নিয়ম অনুযায়ী, চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর ছ’মাসের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে অনেক বন্দিই বছরের পর বছর একাকী বন্দিদশায় থাকেন। তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের কথা জানানো হয় কার্যকর হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে। এই প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts