Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “এই মানুষটার আর বাঁচার অধিকার নেই!” ইসরায়েলি মন্ত্রীর মুখে খামেনেইকে হত্যার সরাসরি হুঁশিয়ারি!
বিদেশ

“এই মানুষটার আর বাঁচার অধিকার নেই!” ইসরায়েলি মন্ত্রীর মুখে খামেনেইকে হত্যার সরাসরি হুঁশিয়ারি!

khamenei
Email :3

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বৃহস্পতিবার এক ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেখানে তিনি সরাসরি বলেছেন—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই (Khamenei)-র “আর বেঁচে থাকা উচিত নয়”। এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন ইরান থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বিয়ারশেবা শহরের সোরোকা হাসপাতালকে আঘাত করে (Khamenei)।

হোলন শহরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “খামেনেই (Khamenei) প্রকাশ্যে বলে থাকেন, তিনি ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে চান। তিনি নিজেই হাসপাতালে হামলার নির্দেশ দেন। তাঁর জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন।” তিনি আরও বলেন, “খামেনেই (Khamenei) একজন স্বৈরশাসক, যিনি এমন একটি দেশের নেতা, যার মূল লক্ষ্য ইসরায়েল ধ্বংস। এমন একজন মানুষের আর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার নেই।”

তিনি জানান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (IDF) ইতিমধ্যেই স্পষ্ট নির্দেশ পেয়েছে যে তারা কী করতে হবে জানে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “এই মানুষটি আর বেঁচে থাকতে পারে না, যদি আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে হয়।”

এই হুমকির পেছনে রয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, যেখানে বলা হয়েছে যে ইসরায়েল খামেনেইকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু সেই পরিকল্পনায় ভেটো দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও পরে ট্রাম্প জানান, “এই মুহূর্তে” খামেনেইকে লক্ষ্য করে কোনও সরাসরি পরিকল্পনা নেই।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, “এই সকালে ইরানের সন্ত্রাসবাদী শাসকরা সোরোকা হাসপাতাল ও দেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে সাধারণ নাগরিকদের উপর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। আমরা তেহরানের এই একনায়কদের চরম মূল্য চোকাব (Khamenei)।”

সকালের হামলায় বহু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়, যার ফলে সোরোকা হাসপাতালে আগুন ধরে যায়। অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। তেলআভিভ সংলগ্ন বেশ কিছু শহরেও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত লাগে।

তবে ইরানের দাবি, তারা ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে, কোনও হাসপাতালকে নয়। তবুও এই ঘটনা দু’দেশের মধ্যে সপ্তম দিনের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও ভয়ানক করে তুলেছে এবং আশঙ্কা বাড়িয়েছে যে এই সংঘর্ষ হয়তো পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো সুনির্দিষ্ট করে জানাননি যে আমেরিকা ইসরায়েলের হয়ে সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে কি না। অপরদিকে, খামেনেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ”-এর দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন, যদিও ট্রাম্প দাবি করেছেন, “ইরান সমস্যায় রয়েছে এবং তারা আলোচনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts