মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের বোল্ডার শহরে ইসরায়েলি (Israel) বন্দিদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মারা গেছেন ৮২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। নিহত বৃদ্ধার নাম কারেন ডায়মন্ড (Israel)। বোল্ডার কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস সোমবার এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
ঘটনাটি ঘটে ১ জুন, বোল্ডার শহরের ডাউনটাউনে। অভিযোগ অনুযায়ী, মোহাম্মদ সাবরি সোলিমান নামে একজন ব্যক্তি ওই সমাবেশে (Israel) অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে মলোটভ ককটেল (হোমমেড দাহ্য বোমা) ছুড়ে মারে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সোলিমান প্রায় ২০ জন মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালান। হামলায় ৮ জন আহত হন, আরও অনেক মানুষ তখন আশেপাশে উপস্থিত ছিলেন (Israel)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় সোলিমান “ফ্রি প্যালেস্টাইন” বলে চিৎকার করছিলেন এবং অন্তত দুইটি মলোটভ ককটেল ছুড়ে মারেন।
সোলিমানের বিরুদ্ধে ১২টি ফেডারেল হেইট ক্রাইম ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আদালতের নথি অনুযায়ী, তিনি ইসরায়েলি বা ইহুদি বলে অনুমান করা ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে হামলা করেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতবাদের উপর ভিত্তি করে হামলাকে হেইট ক্রাইম হিসেবে গণ্য করা হয় না।
সোলিমান একজন মিশরীয় নাগরিক, যিনি অবৈধভাবে পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। তিনি আগেই একটি বন্দুক কেনার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বৈধ নাগরিক না হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোলিমান জানিয়েছেন, তিনি “সমস্ত জায়নিস্টকে হত্যা করতে চান” এবং এই হামলার পরিকল্পনা আগেই করেছিলেন, কিন্তু মেয়ের হাই স্কুল গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
তদন্তে আরও জানা গেছে, হামলার দিন তিনি একজন গার্ডেনার সেজে, কনস্ট্রাকশন ভেস্ট পরে ভিড়ের মাঝে মিশে যান, যাতে সহজেই সমাবেশের কাছে পৌঁছাতে পারেন। ইউটিউব ভিডিও দেখে বোমা বানানোর কৌশল শিখেছিলেন বলেও জানিয়েছেন সোলিমান।
সোলিমানকে গত শুক্রবার আদালতে তোলা হলে, তার আইনজীবী ডেভিড ক্রাউট তার পক্ষে ‘নট গিল্টি’ আবেদন জানান। শুনানির সময় সোলিমান কিছু বলেননি, আরবিতে অনুবাদ শুনে proceedings অনুসরণ করেন।
তিনি বর্তমানে রাষ্ট্রীয় আদালতেও হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে পাবলিক ডিফেন্ডাররা এখনও এই মামলায় কোনো মন্তব্য করেননি।