ইসরায়েল (Israel) বিশ্বজুড়ে তার সব দূতাবাস বন্ধ করে দিচ্ছে এবং দেশটির নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন তারা কোনো ধরনের ইহুদি বা ইসরায়েলি প্রতীক প্রকাশ্যে না দেখান (Israel)। শুক্রবার ইরানে বড় ধরনের সামরিক হামলার পর এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
ইসরায়েলের বিভিন্ন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বর্তমানে কোনো কনসুলার সেবা প্রদান করা হবে না (Israel) এবং যদি কোথাও শত্রুতা বা বিপদের মুখোমুখি হন, তবে স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইসরায়েলি নাগরিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই দূতাবাসগুলো কতদিন বন্ধ থাকবে—সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। বার্লিনে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাসে(Israel) ফোন করলে একজন কর্মকর্তা জানান, তারা এই বিষয়ে কোনো অতিরিক্ত তথ্য দিতে পারছেন না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে,”সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসরায়েলের সব দূতাবাস বিশ্বজুড়ে বন্ধ থাকবে এবং কোনো কনসুলার পরিষেবা দেওয়া হবে না।”
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ শুক্রবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন এবং জানান, জার্মানি এখন দেশটির সব ইহুদি ও ইসরায়েলি স্থাপনার নিরাপত্তা আরও জোরদার করছে (Israel)।
স্টকহোমের বিখ্যাত গ্রেট সিনাগগের সামনে দৃশ্যত নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সেখানে একটি পুলিশ ভ্যান ও একটি গাড়ি সার্বক্ষণিক পাহারায় রয়েছে।
এর আগে ইসরায়েল জানায়, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও সামরিক কমান্ডারদের ওপর বড়সড় হামলা চালিয়েছে। তারা আরও জানায়, এটি হয়তো দীর্ঘমেয়াদি একটি সামরিক অভিযানের অংশ, যার লক্ষ্য হলো—ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে চিরতরে বিরত রাখা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলা নিয়ে বলেন, ইরান নিজেরই এই আক্রমণ টেনে এনেছে, কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তির শর্তে রাজি হয়নি। ট্রাম্প আরও বলেন, “তারা এখনো সময় থাকতে চুক্তি করুক, কারণ পরবর্তী হামলা আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।”