ইরান বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রকে একটি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েলের (Iran Israel crash) সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে আমেরিকা যদি সরাসরি হস্তক্ষেপ করে, তবে তার কঠিন জবাব দেবে তেহরান। ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, পরিস্থিতি যদি আরও উত্তপ্ত হয় এবং আমেরিকা ইসরায়েলের (Iran Israel crash) হয়ে সামরিকভাবে সরাসরি মাঠে নামে, তবে ইরান তার জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ‘সব ধরনের বিকল্প’ ব্যবহার করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “আমেরিকা যদি বাস্তবেই ইসরায়েলি আগ্রাসনের পক্ষে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধের ময়দানে নামে, তাহলে ইরান বাধ্য হবে আক্রমণকারীদের শিক্ষা দিতে এবং নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে।”
ইরানের (Iran Israel crash) এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে এলো যখন পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। আমেরিকা ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে, যা স্পষ্টভাবে যুদ্ধ-প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।
এর আগেও ইরানের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল (Iran Israel crash) বাঘায়ি আল কাসেমি আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমেরিকার যেকোনো রকম হস্তক্ষেপ এই গোটা অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধের রসদ জোগাবে।” তিনি সরাসরি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের হয়ে লড়াইয়ে নামে, তবে এটা গোটা অঞ্চলের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।”

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে সংঘর্ষ থেকে কিছুটা দূরে থাকার (Iran Israel crash) ইঙ্গিত দিলেও এখন আবার বলছেন, তিনি শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি চান না, বরং ‘এর চেয়েও বড় কিছু’। এই মন্তব্য ইঙ্গিত করছে, ওয়াশিংটন হয়তো পরোক্ষভাবে নয়, সরাসরি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইরানের জেনেভায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আলি বাহরাইনি আরও বলেন, “যদি ইরান নিশ্চিত হয় যে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানের ভূখণ্ডে হামলায় জড়িত, তাহলে আমরাও যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধ নিতে শুরু করব।”
মোট কথা, ইরান স্পষ্ট করে দিয়েছে—এই যুদ্ধ এখন শুধু ইসরায়েল নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ঘিরে বিস্তৃত হতে চলেছে। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে, এই সংঘাত কি শেষ পর্যন্ত গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে গিলে ফেলবে?