ইরানের অন্যতম প্রধান ও কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র নাতাঞ্জ ইজরায়েলের (Nuclear Site) সাম্প্রতিক বিমান হানায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (Atomic Energy Organization of Iran)। সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে ঠিকই, তবে এখন পর্যন্ত সেখানে কোনও ধরনের পারমাণবিক বিকিরণ (radioactive contamination) বাইরে ছড়িয়ে পড়ার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রটির (Nuclear Site) আশপাশের অঞ্চলগুলিও আপাতত নিরাপদ বলে দাবি করা হয়েছে।
নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রটি (Nuclear Site) বহু বছর ধরেই ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির মূলে রয়েছে। এটি এমন একটি স্থাপনা, যেখানে ইউরেনিয়াম গ্যাসকে অত্যন্ত উচ্চ গতির ঘূর্ণন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের উপযোগী করা হয়। এই কেন্দ্র আন্তর্জাতিক মহলের দীর্ঘদিনের নজরদারির মধ্যেও ছিল, কারণ এখান থেকেই ইরান (Nuclear Site) তার পারমাণবিক ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল বলে মনে করা হয়।
ইজরায়েল এই কেন্দ্রকে (Nuclear Site) তার সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা অভিযানের অন্যতম মূল লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেয়। গত কিছুদিন ধরেই ইজরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে একের পর এক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের এই কৌশলগত হামলা মূলত ইরানের পারমাণবিক শক্তি অর্জনের সম্ভাবনা নষ্ট করতে চায়। নাতাঞ্জে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই ঘটনার জেরে পশ্চিম এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
ইরান সরকার ইতিমধ্যে জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাটি (Nuclear Site) দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করা হবে এবং পারমাণবিক কেন্দ্রের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি এই ধরনের হামলা আবার হয়, তবে তার জবাব আরও কঠিন হবে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) এই পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে এবং তারা ইরান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নতুন করে অস্থিরতা ছড়াতে (Nuclear Site) পারে, যার প্রভাব শুধু ইরান-ইজরায়েল নয়, বরং বিশ্বের বহু দেশকেই প্রভাবিত করতে পারে। ইজরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং ইরানের প্রতিক্রিয়া—এই দুই বিষয় এখন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের মূল নজরবিন্দু হয়ে উঠেছে।