ইসরায়েল সেনাবাহিনী (Israel Air Force) জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে চালানো এক বিশাল হামলায় তারা ইরানের আকাশসীমার উপরে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে—পশ্চিম ইরান থেকে শুরু করে সরাসরি রাজধানী তেহরান পর্যন্ত।
৭০টির বেশি যুদ্ধবিমান (Israel Air Force) ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় আক্রমণ চালায়, যা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সরাসরি সংঘর্ষগুলির একটি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, “আমরা এখন পশ্চিম ইরান থেকে তেহরান পর্যন্ত সম্পূর্ণ আকাশসীমায় মুক্তভাবে অভিযান চালাতে পারছি। তেহরান এখন আর নিরাপদ নয়, ইসরায়েলের আক্রমণের আওতায় এসেছে।”
তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি বাহিনী (Israel Air Force) ৪০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে, যার মধ্যে ছিল ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং পরমাণু সংক্রান্ত ঘাঁটি। ডেফরিন বলেন, “আমাদের প্রথম ধাক্কায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা সম্পূর্ণ অকার্যকর (Israel Air Force) হয়ে পড়ে। এরপর আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো তেহরানের আকাশে অবাধে উড়তে থাকে।” এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন রাইজিং লায়ন। এর অধীনে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সামরিক নেতৃত্বে বড়সড় (Israel Air Force) ধাক্কা দেয়।
IDF জানায়, এখন পর্যন্ত ইরানের ২০ জনের বেশি শীর্ষ সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, যিনি দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্রুজ মিসাইল ব্যবস্থার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।

ইসরায়েল সেনাবাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় কীভাবে তারা ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলি ধ্বংস করছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, “আমাদের বাহিনী ইরানের পারমাণবিক পরিকল্পনাকে কয়েক বছরের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে। আমরা আয়াতোল্লা সরকারের প্রতিটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাব।” এরই মধ্যে ইরান তেল আবিবে শতাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করে, যার ফলে তিনজন মারা গেছেন ও ৭০ জন আহত হয়েছেন।
তবে শনিবারও ইসরায়েল একাধিক স্থানে হামলা চালিয়ে যায়। ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পসের (IRGC) তিনজন সদস্য, এক পুলিশ প্রধান ও এক অফিসার নিহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি এখন চরম উত্তেজনার দিকে এগোচ্ছে।