Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • ট্রাম্পের হামলায় কাঁপছে বিশ্ব! জাতিসংঘ বলল “এই সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে”!
বিদেশ

ট্রাম্পের হামলায় কাঁপছে বিশ্ব! জাতিসংঘ বলল “এই সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে”!

donald trump s
Email :18

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (Middle East Crisis) ভয়াবহ বিমান হামলা চালানোর পর বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। ইসরায়েল এই হামলাকে ‘ইতিহাস বদলে দেওয়া সাহসী সিদ্ধান্ত’ বলে প্রশংসা করলেও, জাতিসংঘ একে ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং ইরান (Middle East Crisis) সহ বহু দেশ এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “ইতিহাসে লেখা থাকবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক শাসনব্যবস্থাকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র থেকে বঞ্চিত করার জন্য কাজ করেছেন। তাঁর সাহসী সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে।”

অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এই হামলাকে (Middle East Crisis) “চরম অপমানজনক” ও “অবিচারপূর্ণ” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি (NPT)-এর ভয়াবহ লঙ্ঘন করেছে। এর পরিণতি চিরস্থায়ী হবে।”

তিনি আরও বলেন (Middle East Crisis), “জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য দেশের উচিত এই বেআইনি ও অপরাধমূলক কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণের ভিত্তিতে ইরান তার সার্বভৌমত্ব, স্বার্থ এবং জনগণকে রক্ষার জন্য সব ধরনের বিকল্প উন্মুক্ত রাখছে।”

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (Middle East Crisis) বলেন, “আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই অঞ্চল এমনিতেই উত্তপ্ত, তার মধ্যে এই হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। সংঘাত যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে তা সিভিলিয়ানসহ পুরো বিশ্বের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। কোনো সামরিক সমাধান নেই—শুধু শান্তি ও কূটনীতি পারে উত্তরণের পথ দেখাতে।”

নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো ও কিউবা সকলেই কূটনৈতিক পথ অবলম্বনের ওপর জোর দিয়ে সামরিক উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে (Middle East Crisis)। নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স বলেন, “আমরা সব পক্ষকে আবার আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি। কেবল কূটনৈতিক সমাধানই স্থায়ী শান্তি আনতে পারে।”

অস্ট্রেলিয়ার সরকার জানিয়েছে, “ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এখন সময় শান্তির জন্য এগিয়ে আসার। সংঘাত নয়, দরকার সংলাপ।”

কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেল তীব্র ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এই হামলা জাতিসংঘ সনদের চরম লঙ্ঘন এবং মানবতার জন্য এক বিপজ্জনক সঙ্কট তৈরি করেছে।”

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেন, “ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রতি বড় হুমকি। ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া যাবে না। শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলোচনায় ফিরতে হবে।”

ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কায়া কাল্লাস বলেন, “আমরা আগামীকাল ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এই বিষয়টি আলোচনা করব। সব পক্ষকে আরও সংঘাত এড়িয়ে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts