রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বৃহস্পতিবার আমেরিকাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে (Iran Israel Crash) যদি যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে তার ভয়ানক ও অনিশ্চিত পরিণতি হতে পারে। রাশিয়া এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে, যেখানে রুশ বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন।
জাখারোভা (Iran Israel Crash) বলেন, “আমরা ওয়াশিংটনকে স্পষ্ট করে বলতে চাই—এই সংঘাতে সামরিক হস্তক্ষেপ একেবারে বিপজ্জনক হবে এবং তার ফল ভয়াবহ হতে পারে।”
এই প্রসঙ্গে, রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলেক্সেই লিখাচেভ সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের বুশেহর পারমাণবিক চুল্লিতে হামলা করে, (Iran Israel Crash) তাহলে সেটি চেরনোবিলের মতো মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে। ১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের চেরনোবিল চুল্লিতে বিস্ফোরণে যা ঘটেছিল, সেই রকমই বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বুশেহর হলো ইরানের একমাত্র সচল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এটি রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত। বুশেহর উপসাগরের উপকূলে অবস্থিত, যেখানে হামলার জেরে শুধু পারমাণবিক ঝুঁকি নয়, উপসাগরীয় অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।
ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাশিয়া ইসরায়েলকে বুশেহর চুল্লির ওপর বিমান হামলা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র দাবি করেছিলেন, ওই স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। পরে আরেকজন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি “ভুল তথ্য” এবং তিনি বুশেহরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত বা (Iran Israel Crash) অস্বীকার কোনোটাই করতে পারেননি।
এর আগে মার্চ মাসে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি সতর্ক করে বলেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যেকোনো সামরিক হামলা পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তিনি বলেন, এর ফলে উপসাগরের জল দূষিত হবে, মাছ মারা যাবে, এবং কাতার, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোটি কোটি মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে—কারণ এ অঞ্চলের মানুষ মূলত উপসাগরের নোনা জল পরিশোধন করেই বেঁচে থাকে।
তিনি বলেছিলেন, “জল থাকবে না, মাছ থাকবে না, জীবন থাকবে না।”