ইরানে (Iran) ইজরায়েলের সামরিক হামলায় এখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিরীহ সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১,২০০ জনের বেশি। মঙ্গলবার (আজ) এই তথ্য জানিয়ে দিল্লিতে অবস্থিত ইরান (Iran) দূতাবাস ইজরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
এক সরকারি বিবৃতিতে ইরান (Iran) দূতাবাস জানিয়েছে, ‘‘এ ধরনের অপরাধমূলক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও সমস্ত ন্যায়প্রিয় সদস্য রাষ্ট্রদের এগিয়ে আসা উচিত। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং বিশ্ব শান্তির ওপরও চরম হুমকি তৈরি করেছে। অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধে সম্মিলিত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’
এর আগে আজই ইজরায়েল ঘোষণা করেছে, তারা ইরানের (Iran) অন্যতম উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা জেনারেল আলি শাদমানিকে হত্যা করেছে। তিনি সম্প্রতি খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তবে ইরান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

এই ঘটনাগুলোর জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে (Iran) । এর প্রতিবাদে আজ ২০টি মুসলিমপ্রধান দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে ইজরায়েলের এই হামলার নিন্দা করেছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই মুহূর্তে ইজরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। কূটনীতি ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।”
যেসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে — আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনেই, চাদ, কোমোরোস, জিবুতি, মিশর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সোমালিয়া, সুদান, তুরস্ক, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তারা স্পষ্টভাবে বলেছে, যুদ্ধ করে কোনো সমাধান আসবে না। বরং অঞ্চলটিকে পরমাণু ও গণবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে মুক্ত রাখতে হবে এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে বিরত থাকতে হবে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক জলপথে নিরাপদ নৌচলাচলের নিশ্চয়তা দিতে হবে।