Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • দু’সপ্তাহে ৫ লাখ আফগানকে তাড়ালো ইরান—স্কুল থেকে তুলে নিয়ে দিল নির্বাসন! ভয়াবহ দৃশ্য ভিডিওতে ধরা পড়েছে…
বিদেশ

দু’সপ্তাহে ৫ লাখ আফগানকে তাড়ালো ইরান—স্কুল থেকে তুলে নিয়ে দিল নির্বাসন! ভয়াবহ দৃশ্য ভিডিওতে ধরা পড়েছে…

khamenei a
Email :14

ইরান (Iran) থেকে আফগান শরণার্থীদের ব্যাপকভাবে বিতাড়নের নৃশংস চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে জাতিসংঘ। ২৪ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি আফগান নাগরিককে ইরান (Iran) থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) জানিয়েছে, এই সংক্ষিপ্ত সময়ে মোট ৫,০৮,৪২৬ আফগানকে ইরান-আফগান সীমান্ত পার হতে দেখা গেছে। তাঁদের অধিকাংশই ছিলেন অবৈধ শ্রমিক, যারা বছরের পর বছর ইরানে বসবাস করছিলেন।

এমন গণনির্বাসনের পেছনে রয়েছে ইরান (Iran) ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ১২ দিনের সংঘর্ষ। সন্দেহ করা হচ্ছে, এই সংঘর্ষের পর ইরানি কর্তৃপক্ষ আফগান অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তুলে নির্বিচারে তাদের বহিষ্কার করতে শুরু করেছে, যদিও এসব অভিযোগের পেছনে কোনো প্রমাণ নেই। তেহরান সরকারের ঘোষিত বিতাড়ন কর্মসূচি মার্চে চালু হলেও সম্প্রতি এই প্রক্রিয়া চরমে পৌঁছেছে, যা এখন আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও সমালোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হারাত সীমান্তের ইসলাম ক্বালা এলাকায় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে—দলবেঁধে মানুষ ফিরে আসছে, সীমান্তে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার মানুষ (Iran) । অনেকেই ছোট শিশুদের নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে কঠিন পথ, কেউ কেউ নিঃসঙ্গ শিশু হিসেবেও পৌঁছেছে আফগানিস্তানে।

IOM-এর মিশন প্রধান মিহিউং পার্ক বলেন, “শুধু গত সপ্তাহেই আমাদের কাছে এসেছে ৪০০-এরও বেশি নিঃসঙ্গ শিশু (Iran) । এটা খুবই উদ্বেগজনক। এক সপ্তাহে ২.৫ লাখ মানুষকে ফেরত পাঠানো হয়েছে – যা এ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যা।”

তাদের মধ্যে একজন ভুক্তভোগী তরুণ বাশির জানান, তাকে তেহরানে ইরানি (Iran) পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। দুই দিন আটকে রেখে মারধর করা হয় এবং জোরপূর্বক অর্থ আদায় করা হয়। তার ভাষায়, “প্রথমে ১০ মিলিয়ন তোমান (প্রায় ২০০ ডলার) চায়। এরপর ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে আবার ৫০ ডলার দাবি করে। সেখানকার ২০০ জনের বেশি মানুষকে খাবার কিংবা পানি ছাড়াই আটকে রাখা হয়। আমাদের পেটানো হয়েছে, গালাগালি করা হয়েছে।”

আরও হৃদয়বিদারক বর্ণনা দিয়েছেন ১১ বছর বয়সী শিশু পারিসা (Iran) । সে জানায়, “স্কুল থেকে বের করে দিয়ে বলল দেশ ছাড়তে হবে। ছয় বছর ইরানে ছিলাম, আমাদের বৈধ কাগজপত্র থাকলেও তারা জোর করে বের করে দেয়।”

এই গণনির্বাসনের পেছনে ইরানি (Iran)  সরকারি গণমাধ্যম একতরফাভাবে প্রচার চালাচ্ছে যে, আফগান অভিবাসীরা নাকি ইসরায়েলের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করছিল। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ইরান মূলত নিজের ভঙ্গুর অর্থনীতির দায় চাপাচ্ছে এক দুর্বল জনগোষ্ঠীর ঘাড়ে, যাদের অনেকেই দেশটির গৃহস্থালি ও শ্রম খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছিল।

জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোর্টার রিচার্ড বেনেট এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) পোস্ট করে বলেন, “শত শত আফগান এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হয়েছে। মিডিয়াতে তাদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলা হচ্ছে—এই উস্কানি খুবই বিপজ্জনক এবং অমানবিক (Iran) ।”

ইরান সরকার অবশ্য এসব বিতাড়নকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার অংশ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে বলছে, “আমরা সবসময় ভালো আতিথেয়তা দেখিয়েছি, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা আগে। অবৈধ নাগরিকদের দেশে ফিরতেই হবে।”

এই ভয়াবহ মানবিক সংকট এখন আফগানিস্তানের সীমান্তে একটি ভয়ংকর বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে। শিশুর কান্না, মায়েদের অসহায়তা আর যুবকদের ক্ষোভ মিলিয়ে তৈরি হয়েছে এক অশ্রুভেজা অধ্যায়, যা এখনো বিশ্বনজরে পুরোপুরি আসেনি। তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়—এদের অপরাধ কী ছিল? শুধু ‘আফগান’ হওয়া (Iran)?

Related Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts