ইসরায়েল ও ইরানের (Iran) মধ্যে লাগাতার পাঁচ দিন ধরে চলা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাঝে ইরানের কেরমানশাহ-তে আটকে পড়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের চোখে এখন একমাত্র ভরসা — তেহরান (Iran) থেকে ১১০ জন ভারতীয় ছাত্রকে আর্মেনিয়ায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখান থেকে তাঁরা দিল্লি ফিরে আসবেন।
কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ইরান (Iran) কো-অর্ডিনেটর ফাইজান জানিয়েছেন, কেরমানশাহ শহরে অবস্থা খুবই ভয়াবহ। ইসরায়েলের এক এয়ারস্ট্রাইকে সেখানকার একটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। আর এক হামলায় একটি হোস্টেল (Iran) ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যেখানে দুই কাশ্মীরি ছাত্র আহত হয়েছেন।
ফাইজান বলেন, “যেখানে হাসপাতাল, হোস্টেলেও হামলা হচ্ছে — এটা স্পষ্ট যে পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক (Iran) । ভারতীয় ছাত্ররা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।”
কেরমানশাহ শহরের আকাশে একটানা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া ও ধোঁয়ার রেখা দেখে ছাত্রদের আতঙ্ক আরও বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে ইরানে প্রায় ১,০০০ থেকে ১,৫০০ ভারতীয় ছাত্র রয়েছেন, যাঁদের অনেকেই মেডিক্যাল পড়াশোনা করতে গেছেন।
ফাইজান নিজে কেরমান ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর ছাত্র। তিনি জানান, যুদ্ধ শুরু হতেই সারা ইরানে ভারতীয় ছাত্রদের জন্য সাপোর্ট গ্রুপ তৈরি করা হয়।
সোমবার, তেহরানে থাকা ছাত্রদের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসে করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কোম শহরে — যেটি তুলনামূলকভাবে একটু নিরাপদ। তবে ফাইজান জানান, এখনও তেহরানে ১০-২০ জন ছাত্র রয়ে গেছেন, যাঁদের মঙ্গলবারের মধ্যেই সরিয়ে আনা হবে।

তিনি জানান, ১৩ জুন থেকে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে, যখন ইসরায়েল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলিতে হামলা চালায়। ইরান জানিয়েছে, এতে প্রায় ২২৫ জন মারা গেছেন, যাদের বেশিরভাগই নিরীহ সাধারণ মানুষ।
এই বিপদের মাঝেও ফাইজান ভারতীয় দূতাবাসের ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, “দূতাবাস আমাদের ট্রান্সপোর্ট, থাকার জায়গা, খাওয়ার সব ব্যবস্থা করছে। কিন্তু আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখান থেকে বেরোতে চাই।”
ফাইজানের আবেদন, তাঁদের আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে সরানো হোক, কারণ সেটিই সবচেয়ে কাছের ও বাস্তবসম্মত পথ।