আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Indian Origin) গৌরব চিন্তামনিডি তাঁর কলেজ জীবন থেকে কর্মজীবনের রূপান্তর নিয়ে এক আবেগঘন পোস্ট করে লাখো মানুষকে ছুঁয়ে গেছেন। বর্তমানে অ্যামাজনের অপারেশনস লিডার পদে কর্মরত গৌরব, (Indian Origin) লিঙ্কডইনে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করে শিরোনামে লিখেছেন: “তুমি কলেজে পিক করোনি—এই রূপান্তর কঠিন, কিন্তু ঠিক আছে।”
চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড কর্পোরেট কমিউনিকেশনস-এ স্নাতক হওয়ার পর, গৌরব (Indian Origin) যখন ‘ডিএমভি’ (D.C.-Maryland-Virginia) অঞ্চলে প্রথম পৌঁছান, তখন তাঁর মনে ছিল এক রঙিন স্বপ্নের ছবি—টেলিভিশনের বা সোশ্যাল মিডিয়ার মতোই। ভেবেছিলেন (Indian Origin) সকালে ৯টা থেকে ৫টা কাজ, অফিস শেষে সহকর্মীদের সঙ্গে ড্রিংকস, মেট্রোতে নতুন বন্ধুরা, সপ্তাহান্তে ব্রাঞ্চ, কফি শপে প্রজেক্ট, আর রাতে অনলাইন কোর্স করে নতুন স্কিল শেখা—এমনই হবে জীবনের ছন্দ।
কিন্তু বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁকে (Indian Origin) সপ্তাহে প্রায় ৫০-৬০ ঘণ্টা কাজ করতে হতো। কখনো কখনো ভোর ৩টায় উঠে ‘ওপেনিং শিফটে’ যেতে হয়েছে। উইকেন্ডে অবকাশের বদলে ছিল ওভারটাইম, আর হাতে গোনা কয়েকটি ছুটির দিন কেটে গেছে শুধুই বিশ্রামে।
তিনি (Indian Origin) লেখেন, “আমি দেখতাম নিজেকে বিছানায় শুয়ে ইনস্টাগ্রামে স্ক্রল করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। এক নাগাড়ে ছয় দিন কাজ করার পর, কোনও এনার্জি থাকত না। নতুন শহরে নতুন বন্ধুত্ব গড়ে তোলা যতটা ভাবি, ততটা সহজ নয়। এমনকি একসময় মনে হতো, আমি কি কলেজেই পিক করে ফেলেছি?”
তবে এই পোস্ট কোনো অভিযোগ নয়—বরং বাস্তবতার স্বীকৃতি। গৌরব (Indian Origin) নিজের অনুভূতি শেয়ার করে বলেন, “এই রূপান্তর নিয়ে সংগ্রাম করা একদম স্বাভাবিক। আমি জানি, অনেকেই এই একই পথে হাঁটছেন।”
তিনি স্বীকার করেন, এখনো মাঝেমধ্যে কলেজের পুরনো ছবিগুলো ঘাঁটেন, মিস করেন সেই দিনগুলো। কিন্তু গ্র্যাজুয়েশনের এক বছর পর তিনি বুঝেছেন, এই সময়টা নষ্ট নয়।
“না, এই বছরটা কোনো অপচয় নয়। এই বছরটা হলো দৃঢ়তা, আত্ম-উপলব্ধি আর জীবনের লক্ষ্য পুনঃনির্ধারণের। একটা নতুন সমাজ, নতুন জীবনে খাপ খাইয়ে নেওয়াই একটা বিশাল জীবনদক্ষতা—যেটা আমি এখন শিখে ফেলেছি,” বলেন গৌরব।
তাঁর এই খোলামেলা অভিজ্ঞতা আজ হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর হৃদয় ছুঁয়ে গেছে—যাঁরা ক্যাম্পাসের স্বপ্ন থেকে বাস্তব জগতের বাস্তবতায় প্রবেশ করছেন।