জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) এক অধিবেশনে শুক্রবার ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (India Pakistan Tension) সরাসরি আক্রমণ শানায়। ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পরবর্তনী হরিশ বলেন, “পাকিস্তান সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে (India Pakistan Tension) , সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় দিচ্ছে এবং ধর্মীয় স্থান ও হাসপাতালকে আড়াল হিসেবে ব্যবহার করছে জঙ্গিদের জন্য।”
তিনি জানান, চলতি মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারত লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিলে তার পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান সীমান্তে ড্রোন, গুলি ও শেল ফায়ার করে। এতে ২০ জনের বেশি ভারতীয় সাধারণ মানুষ (India Pakistan Tension) নিহত হন, আহত হন ৮০ জনের বেশি।
হরিশ বলেন, “এই হামলাগুলি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। পাকিস্তান গুরদোয়ারা, মন্দির ও হাসপাতালের মতো ধর্মীয় ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করেছে।” তিনি একে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “২৬/১১ মুম্বই হামলা থেকে শুরু করে এবছরের এপ্রিলের পাহেলগাম হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারত বহু জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে।”
হরিশ স্পষ্ট করে বলেন, “পাকিস্তানের মতো রাষ্ট্র, যারা সন্ত্রাসবাদী ও সাধারণ নাগরিকের মধ্যে কোনও পার্থক্য করে না, তারা মানুষের সুরক্ষার বিষয়ে কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার রাখে না।”
তিনি তীব্র ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “জাতিসংঘে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার যুক্তি তুলে ধরে যেন জঙ্গিদের ঢাকনা দেওয়া না হয়। বিশ্ব সমাজকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে এর মদতদাতাদের চিহ্নিত করতে হবে।”