পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর (India Pakistan tension) মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী সম্প্রতি ভারত-বিরোধী বক্তব্য দিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যের ভাষা এমনই (India Pakistan tension) ছিল যে তা মনে করিয়ে দেয় ২০০৮ মুম্বই হামলার মূলচক্রী ও জঙ্গি হাফিজ সইদের অতীতের উস্কানিমূলক ভাষণগুলোকে।
পাকিস্তানের (India Pakistan tension) এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আহমেদ চৌধুরী ভারতকে হুমকি দিয়ে বলেন, “তোমরা যদি আমাদের জল বন্ধ করো, তাহলে আমরা তোমাদের শ্বাস বন্ধ করে দেব।” (উর্দু ভাষায়: “তুম হামারা পানি রোক দোগে তো হম তুমহারা সাঁস বন্ধ কর দেঙ্গে।”)
এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট হল ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের প্রতিক্রিয়া। ওই হামলার পরের দিন, ২৩ এপ্রিল ভারত পাকিস্তানের প্রতি কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা করে জানিয়ে দেয়, “রক্ত ও জল একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।” সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভারত প্রথমে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে এবং একই সঙ্গে বন্ধ করে দেয় অটারি সীমান্তে অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট।
সিন্ধু জলচুক্তি, যা বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত হয়েছিল, ভারতের পাঞ্জাব থেকে প্রবাহিত ছয়টি নদীর জলবণ্টন নিয়ে গঠিত। এই নদীগুলি হল—সুতলজ, বেয়াস, রবি, ঝেলম, চেনাব ও সিন্ধু। চুক্তিটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জলসম্পদ ভাগাভাগির নির্দিষ্ট নিয়মকানুন স্থাপন করে এবং নির্ধারিত সময়ে তথ্য আদানপ্রদানের বাধ্যবাধকতা তৈরি করে।
পাকিস্তানকে বারংবার সতর্ক করার পরও যখন সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ হয়নি, ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ন’টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।
ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও শান্তিপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একসঙ্গে চলতে পারে না। সেনাপ্রবক্তার হুমকি সেই বাস্তবতাকেই আরও পরিষ্কার করে দিয়েছে।